বিক্ষোভের জের

বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের পদত্যাগ

জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোরালেস বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ইভো মোরালেস
যাযাদি ডেস্ক অবশেষে বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। প্রায় ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর রোববার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট আলভারো গার্সিয়া লিনেরা এবং সিনেট প্রেসিডেন্ট আদ্রিয়ানা সালভাতিয়েরা পদত্যাগ করেন। মোরালেসের পদত্যাগের ঘোষণার পর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে এবং আনন্দ মিছিল করে। এদিকে মোরালেসকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তবে তিনি একে 'অবৈধ' বলে আখ্যায়িত করেছেন। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি গত মাসে দেশটিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে মোরালেস প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্র্নির্বাচিত হওয়ার দাবি করেন। কিন্তু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করে বিরোধীরা তা প্রত্যাখ্যান ও বিক্ষোভ করে আসছিল। রোববার আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোও ২০ অক্টোবরের ভোটে কারচুপির প্রমাণ পেয়েছে জানিয়ে নির্বাচনের ফল বাতিলের আহ্বান জানায়। তাদের সঙ্গে একমত হয়ে মোরালেস নির্বাচন কমিশন ঢেলে সাজানোর পর নতুন করে ভোটের ঘোষণা দেন। কিন্তু তার এ ঘোষণা মেনে না নিয়ে বলিভিয়ার রাজনৈতিক নেতারা এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশপ্রধান তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। এরপরই টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগের ঘোষণা দেন। মোরালেস বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, তার রাজনৈতিক মিত্র ও সমর্থকদের অনেকের ওপর হামলা এবং তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের পরিবারের সুরক্ষায় তিনি পদত্যাগ করছেন। বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'ভাই ও বোনদের ওপর হামলা এবং জ্বালাও পোড়াও বন্ধ করুন।' বলিভিয়ায় মোরালেস ২০০৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসেন। তিনি ছিলেন সে দেশে প্রথম কোনো আদিবাসী, যিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হন। গত মাসের নির্বাচন ছিল তার উপর্যুপরি চতুর্থ দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ। কিন্তু নির্বাচনের দিন রাতে ভোট গণনা ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর ঘোষিত ফলে দেখা যায় মোরালেস প্রথম পর্বে সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১০ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন। কিন্তু বিরোধীদলগুলো নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে রাস্তায় নেমে আসে। আন্দোলন-বিক্ষোভে অন্তত তিন জন নিহত হয়।