স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন

গণতন্ত্রের জোরাল দাবিতে হংকংয়ে রেকর্ড ভোট

নির্বাচনকে চীনপন্থি ক্যারি লামের জন্য 'অগ্নিপরীক্ষা' হিসেবে দেখা হচ্ছে বিজয়ী হয়ে চীনকে বার্তা দিতে চান গণতন্ত্রপন্থিরা

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম
যাযাদি ডেস্ক গণতন্ত্রের জোরালো দাবির মুখে কয়েক মাসের টানা বিক্ষোভ-সহিংসতার মাঝে হংকংয়ের জেলা পরিষদ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়েছে। স্থানীয় সময় রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই ভোটগ্রহণ চলে। এবারের নির্বাচনকে অঞ্চলটির চীনপন্থি শাসক ক্যারি লামের জন্য 'অগ্নিপরীক্ষা' হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচনের ফল ঘোষিত হয়নি। তবে রোববার (গতকাল) মধ্যরাত, কিংবা আজ সকালে চূড়ান্ত ফল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স ছয় মাস ধরে হংকংয়ে তীব্র চীনবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে চীনকে একটি বার্তা দিতে চান অঞ্চলটির গণতন্ত্রপন্থিরা। ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করতে আগে থেকেই সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তারা। তারপরও আশঙ্কা ছিল, শেষ পর্যন্ত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়বে। যদিও সুষ্ঠুভাবেই তা সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অল্প সংখ্যক পুলিশি উপস্থিতিতে প্রথমে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। তবে দাঙ্গা পুলিশ কেন্দ্রগুলোতে পাহারা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ভোটকেন্দ্রগুলোতে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে ঝামেলা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় আগেভাগেই ভোট দিতে চলে আসেন অনেক ভোটার। তাদের একজন ৪৫ বছরের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কেভিন লাই। তিনি বলেন, 'লোকজনের আশঙ্কা, হয়তো অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো কারণে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যাবে।' চার বছর আগে ২০১৬ সালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে একই সময়ে ভোট পড়েছিল প্রায় ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ২২৯টি। অতীতের এই রেকর্ড এবার ভেঙে গেছে ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটদানের মাধ্যমে। জেলা পরিষদের এই নির্বাচনে ৪৫২টি আসনের বিপরীতে লড়াই করেছেন রেকর্ড এক হাজার ১০৪ জন প্রার্থী। নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন প্রায় ৪১ লাখ। হংকংয়ের গণতন্ত্রকামী রাজনীতিকরা যদি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান, তাহলে হংকংয়ের পার্লামেন্টের ছয়টি আসনে তাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে। একই সঙ্গে বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্টের এক হাজার ২০০ সদস্যের যে প্যানেল রয়েছে; সেই প্যানেলের ১১৭টি আসন তারা পাবেন। এদিন নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর চীনপন্থি হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী বলেন, 'এই নির্বাচনে মানুষের মতামতকে তার সরকার গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।' হংকং বাপ্টিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক কেনেথ জান বলেন, 'হংকংয়ের জনগণ নির্বাচনকে মত প্রকাশের আরেকটি মাধ্যম হিসেবে দেখছে। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।'