মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ
যাযাদি ডেস্ক
ভারতের মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারের ভবিষ্যৎ আপাতত সুপ্রিম কোর্টেই ঝুলছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ নিয়ে আজই (সোমবার) সিদ্ধান্ত জানাতে পারে দেশটির শীর্ষ আদালত। কিন্তু তার আগেই আত্মবিশ্বাসী শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস শিবির। জোটের নেতাদের দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবেন না দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। 'অবৈধ' সরকারের পতন হবেই। এদিকে, ফড়নবিশ-অজিত শিবির এ নিয়ে একেবারে চুপ। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ
সুপ্রিম কোর্টে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দাবি করেছিলেন বিরোধীরা, সেটা খারিজ হওয়ায় তাদের মুখ পুড়েছে বলে দাবি বিজেপির। বিরোধী শিবিরের দাবি ছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে ফড়নবিশ সরকারকে। কিন্তু তা নিয়ে শনিবার কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি সুপ্রিম কোর্ট। আজ সেই সিদ্ধান্ত জানাতে পারে ভারতের শীর্ষ আদালত।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা মনে করছে, অজিত পাওয়ারকে ভাঙিয়ে কার্যত চুপিসারে শপথ নিলেও সরকার টিকিয়ে রাখতে পারবেন না ফড়নবিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর মহারাষ্ট্রের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চৌহান বলেন, 'আদালতকে ধন্যবাদ যে, রোববার ছুটির দিনেও আমাদের আবেদন শুনেছে। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ফের শুনানিতে ফেঁসে যাবে বেআইনি ফড়নবিশ সরকার। তাদের 'ঘোড়া কেনাবেচার' (বিধায়কদের নিজের দিকে টানা) আগেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়া উচিত ছিল।'
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার দাবি, ফড়নবিশ নয়, জোটের সঙ্গেই সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক রয়েছেন। তিনি বলেন, 'এনসিপির ৪১ বিধায়কের স্বাক্ষর করা চিঠি আমাদের হাতে রয়েছে। আদালতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার চিঠি পেশ করতে হবে। আমরা আদালতে আবেদন করেছি, দ্রম্নত সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য। তাতেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, বিজেপি ও অজিত পাওয়ার যে সরকার গঠন করেছে, তা বেআইনি।'
উল্টো দিকে আদালতে প্রাথমিকভাবে তাদের জয় হয়েছে, এটা প্রমাণে এখন মরিয়া চেষ্টা করে চলেছে বিজেপি। দলের মুম্বাই শাখার সভাপতি আশিস শেলার বলেন, 'শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের সব আইনজীবী রোববারের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা না হওয়ায় এটা স্পষ্ট, তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতে তাদের মুখ পুড়েছে।'
শনিবার সকালে সবাইকে বিস্মিত করে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সেই সঙ্গে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হসেবে অজিত পাওয়ার। কিন্তু সরকার গঠনের এই প্রক্রিয়া 'অবৈধ' দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে যায় বিরোধী জোট। তাদের বক্তব্য, নিয়ম মেনে শপথ গ্রহণ হয়নি। পাশাপাশি ফড়নবিশ-অজিত জুটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার আবেদনও সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন তারা। সেই আবেদনের পর রোববার তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়ে দেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রাজ্যপালের সরকার গঠনের আহ্বানের চিঠি এবং ফড়নবিশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি করা চিঠি আদালতে পেশ করতে হবে সলিসিটর জেনারেলকে।
