বিমান দুর্ঘটনার চার দশক পর ক্ষমা চাইল নিউজিল্যান্ড

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক চার দশক আগে ১৯৭৯ সালের ২৮ নভেম্বর অ্যান্টার্কটিকার এক বিমান দুর্ঘটনার কারণ ঢাকতে তৎকালীন সরকারের ছলচাতুরির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অরডার্ন। ওই দুর্ঘটনায় ২৫৭ জন প্রাণ হারান। দুর্ঘটনাটিকে দেশটির শান্তিকালীন সময়ের অন্যতম বড় বিপর্যয় হিসেবে দেখা হয়। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স সেদিন এয়ার নিউজিল্যান্ডের ফ্লাইট ৯০১ অকল্যান্ড থেকে পর্যটকদের নিয়ে অ্যান্টার্কটিকায় উড়ে গিয়েছিল। অ্যান্টার্কটিকায় যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা ঘাঁটি ম্যাকমুরডো স্টেশনের কাছে তিন হাজার ৭৯৪ মিটার উচ্চতার আগ্নেয়গিরি মাউন্ট এরেবাসের একপাশে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটির আরোহীদের মধ্যে ২৩৭ জন যাত্রী ও ২০ জন ক্রু ছিলেন। নিহতদের বেশির ভাগই নিউজিল্যান্ডের। তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকও ছিলেন। শুরুর দিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার জন্য চালকদের দোষারোপ করা হয়। কিন্তু গণ-অসন্তোষের মুখে নিউজিল্যান্ডের তৎকালীন সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি রাজকীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে। তদন্তে দেখা যায়, চালকদের দোষে নয়, রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহণ সংস্থার অব্যবস্থাপনাই ছিল দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। ক্রুদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না দিয়েই এয়ার নিউজিল্যান্ড তাদের বিমানগুলোর নেভিগেশন ব্যবস্থাপনা বদলে ফেলেছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। বৃহস্পতিবার অকল্যান্ডের 'গভর্নমেন্ট হাউসে' একটি স্মৃতিসৌধে তৎকালীন সরকারের ভূমিকার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন। তিনি বলেন, '৪০ বছর পর বর্তমান সরকারের পক্ষে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি বিমান সংস্থার পদক্ষেপের জন্য ক্ষমা চাওয়ার সময় এসেছে, যার পরিণতিতে একটি বিমান ধ্বংস হয়েছিল, আপনারা হারিয়েছিলেন আপনাদের প্রিয়জনদের। ওই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য পাইলটরা দায়ী ছিলেন না। আমি আজ এখানে সেই কথা আবারও বলার জন্য এসেছি।'