যুক্তরাজ্যে নির্বাচন

ফেসবুক ও টুইটারে বিতর্কিত প্রচার কনজারভেটিভ পার্টির

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির বিরুদ্ধে বিবিসির একটি 'ভিডিও কনটেন্ট' খন্ডিত উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে ফেসবুকে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এটি সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিবিসি। এই ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, কনজারভেটিভ পার্টি তাদের প্রচারণার স্বার্থে নিজেদের মতো করে বিবিসির কনটেন্ট সম্পাদনা করে নিয়েছে। এ ছাড়া টু্‌ইটারে নিজেদের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন করেও ব্রিটিশদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগও উঠেছে কনজারভেটিভ পার্টির বিরুদ্ধে। আগামী ১২ ডিসেম্বরের সাধারণ নির্বাচন ঘিরে প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলো। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ভোটার নিবন্ধন। চলমান নির্বাচনী প্রচারণা ও বিতর্কে ইসলাম-বিদ্বেষ ও ইহুদি-বিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির মতো বড় দলগুলোর বিরুদ্ধে। বিজ্ঞাপন হিসেবে প্রচারিত ১৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে বিবিসির রাজনীতি বিশ্লেষক লরা কুজেনবার্গ, উপস্থাপক হু অ্যাডওয়ার্ড ও প্রতিবেদক জোনাথান বেস্নককে ব্রেক্সিট নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। এতে দেখা যায়, বিবিসির উপস্থাপক ও প্রতিবেদকরা ব্রেক্সিট বিলম্বকে 'ভিত্তিহীন' বলছেন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিবিসি জানায়, ফেসবুকে প্রচারিত কনজারভেটিভ পার্টির ওই খন্ডিত ভিডিও এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষ দেখেছেন। কনজারভেটিভ পার্টির দাবি, ভিডিও এমনভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে, যেন তার বার্তা বদলে না যায়। তবে বিবিসির অভিযোগ, এতে করে দর্শক বিভ্রান্ত হতে পারেন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, 'আমরা জানি, বিবিসির কনটেন্ট ব্যবহার করে কনজারভেটিভ পার্টি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। কিন্তু এটা অগ্রহণযোগ্য। বিবিসির ফুটেজ এভাবে ব্যবহার করলে আমাদের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে।' এর আগে মাইক্রোবস্নগিং সাইট টুইটারও কনজারভেটিভ পার্টিকে সতর্ক করে দিয়েছিল, তারা যেন জনগণকে বিভ্রান্ত না করে। তারা তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন করে একটি 'ফ্যাক্ট চেকিং' সংস্থার নাম রেখেছে এবং রাজনৈতিক বিতর্কে সেখান থেকে পোস্ট দেওয়া হচ্ছে। গত ১৯ নভেম্বর করবিন ও বরিস জনসনের বিতর্কের সময় 'সিসিএইচকিউপ্রেস' নামের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্টের নাম পরিবর্তন করে ফ্যাক্টচেকইউকে রাখে কনজারভেটিভ পার্টি। টুইটার জানায়, 'ভেরিফাইড প্রোফাইলের নাম পরিবর্তন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'