মহারাষ্ট্রে জোট সরকার

আস্থাভোট সহজেই উৎরে গেলেন উদ্ধব :ওয়াকআউট বিজেপির

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে
ভারতের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন গত বৃহস্পতিবার। শনিবার বিধানসভায় আস্থাভোটেও সহজে জয়ী হলেন শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে। তার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ১৬৯ জন বিধায়ক। আর ভোটদানে বিরত ছিলেন চার বিধায়ক। এই চারজন হলেন, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার এক, এআইএমআইএমের দুই এবং সিপিএমের এক বিধায়ক। ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১৪৫। অর্থাৎ, অতি সহজেই ম্যাজিক ফিগার পার করে গেছে শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপির জোট। এ দিন উদ্ধবের বিরুদ্ধে একটি ভোটও পড়েনি। সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ, এনডিটিভি দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন উদ্ধব ঠাকরে। বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় তার শক্তি পরীক্ষা ছিল। স্পিকার নিয়োগ না করেই আস্থাভোট করার প্রতিবাদে এদিন ভোটাভুটির আগেই বিধানসভা থেকে প্রথমে ওয়াক আউট করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, আস্থা ভোটের জন্য দ্বিতীয়বার 'প্রোটেম' (কেবল বর্তমানের জন্য) স্পিকার নির্বাচন করা হয়েছে, যা বেআইনি। স্পিকার নির্বাচনের আগে আস্থাভোট হওয়া নিয়েও সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। তারপর প্রোটেম স্পিকার দিলীপ ওয়ালসে প্যাটেলের তদারকিতে দুপুরে আস্থাভোট শুরু হয়। তাতে ভালোভাবেই উৎরে যান উদ্ধব। আগামী পাঁচ বছর তিনিই মহারাষ্ট্রে সরকার চালাবেন। বিজেপি নেতৃত্ব জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিল 'মহা বিকাশ আগাড়ি' জোট। ১৭০ জনের বেশি বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে এদিন সকালেই দাবি করেন তারা। জোটের পক্ষ থেকে যে হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়, শিবসেনার ৫৬, এনসিপির ৫৪ এবং কংগ্রেসের ৪৪ জন ছাড়াও ৮ জন স্বতন্ত্র বিধায়ক, সমাজবাদী পার্টির দুই বিধায়ক এবং স্বাভিমানী শেতকরির এক, বহুজন বিকাশ আগাড়ির তিন, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার এক, পিস্যান্টস অ্যান্ড ওয়ার্কারস পার্টি অব ইনডিয়ার এক, সিপিআইয়ের এক মিলিয়ে মোট ১৭১ জনের সমর্থন রয়েছে উদ্ধব নেতৃত্বাধীন জোটের পক্ষে। গত বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন উদ্ধব ঠাকরে। ওই দিনই তার সঙ্গে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আরও ছয় জন। তবে উপ-মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন- তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। এনসিপি এবং শিবসেনা থেকে মোট দুই জনকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হবে বলে প্রথমে জানা গেলেও, এখন পর্যন্ত তা নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে বিধানসভার স্পিকার পদের জন্য এরই মধ্যে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কংগ্রেসের নানা পাটোলে। উলেস্নখ্য, একসময় বিজেপিতেই ছিলেন পাটোলে। পরে মোদির নীতির বিরোধিতা করে দল ছাড়েন তিনি। এদিকে, বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দপ্তর বণ্টন নিয়ে এরই মধ্যে কথা হয়ে গেছে তিন দলের মধ্যে। স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পরিবেশ এবং বন দপ্তর পেতে পারে এনসিপি। রাজস্ব, পূর্ত এবং শুল্ক দপ্তর কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে। নগরোন্নয়ন, গৃহনির্মাণ, সেচ যেতে পারে শিবসেনার কাছে। শিক্ষা, শিল্প প্রকৃতি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।