রাহুলকে পদে ফেরাতে তোড়জোড় শুরু

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাহুল গান্ধী
যাযাদি ডেস্ক দলের চাপে অন্তর্র্বর্তী সভানেত্রী হয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তখনই জানিয়েছিলেন, এটা পাকাপাকি নয়। এদিকে, চার মাস পেরোনোর আগেই সভাপতি পদে ফের রাহুল গান্ধীকে বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে ভারতের শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেসের মধ্যে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি প্রায় এক মাস ছুটি কাটিয়ে এখন বিভিন্ন রাজ্য সফরে বেরিয়েছেন রাহুল। এর মধ্যেই ঝাড়খন্ডে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গেছেন। চলতি সপ্তাহের শেষে যাবেন কেরালায় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ওয়েনাড়ে। কংগ্রেস শিবিরে গুঞ্জন চলছে, সভাপতি থাকতে রাহুলের হাত ধরে দলে যাদের উত্থান হয়েছিল, তাদের ফের উজ্জীবিত করা হচ্ছে। তাদের সিংহভাগই নবীন নেতা। কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখায় তারা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন। এমন এক নেতার দাবি, রাহুল গান্ধীকে ফের সভাপতি করার সবুজ সংকেত এসেছে ১০ জনপথ (কংগ্রেস সদর দপ্তর) থেকেই। আপাতত দলের মাঠপর্যায়ে রাহুলকে ফিরিয়ে আনার চাপ তৈরি করা হবে। সেটি জোরালো হলেই প্রবীণ নেতাদের ওপর চাপ আসবে। রাহুল ফিরছেন কংগ্রেসের অন্দরে- এই হাওয়া ছড়াতে নবীনদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়েছে। তাদের অনেকের আশা, রাহুল সভাপতি পদে বসে নিজের 'টিম' তৈরি করবেন। যেখানে গুরুত্ব পাবেন নবীনরাই। শুরুতে প্রবীণরা থাকলেও ধাপে ধাপে তাদের সরানো হবে। রাজ্যসভায় যে প্রবীণরা বছরের পর বছর ধরে আছেন, তাদের মেয়াদ শেষ হলে আর প্রার্থী করা হবে না। বরং রাহুল রাজ্যসভায় পাঠাতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কে সি বেণুগোপালের মতো নেতাদের। আগামী সপ্তাহেই দিলিস্নর রামলীলা ময়দানে বিরোধীদের শক্তি দেখাতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে অন্য বিরোধীদলকেও। এমনকি সদ্য বিজেপির সঙ্গত্যাগ করা শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরেকেও আসতে অনুরোধ করা হয়েছে। রাহুলের ফিরে আসার প্রেক্ষাপট হিসেবেও ওই মঞ্চ ব্যবহার করা হতে পারে। টুইটে এরই মধ্যে # 'আমার নেতা রাহুল' প্রচার শুরু করেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। এতে কোনো বড় নেতা শামিল হননি। কিন্তু যুব, মহিলা, সেবাদল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মতো কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখার নবীন নেতারা প্রচার করছেন। অল ইনডিয়া কংগ্রেস পার্টির (এআইসিসি) গবেষণা বিভাগের এক নেত্রী বলেন, আবেগ, করুণার সঙ্গে নির্ভীক হয়ে রাজনীতির পাঠ শিখিয়েছেন রাহুল। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসও এই প্রচার শুরু করেছে।