পেনশন ব্যবস্থার সংস্কার দাবি

নজিরবিহীন ধর্মঘটে অচল ফ্রান্স, দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর প্রস্তাবিত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে পেশাজীবী ও শ্রমিক সংগঠনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটে কয়েক বছরের মধ্যে নজিরবিহীন অচলাবস্থায় পড়েছে ফ্রান্স। বৃহস্পতিবারের এ ধর্মঘটে পুলিশ, আইনজীবী, হাসপাতাল ও বিমানবন্দরের কর্মীদের সঙ্গে শিক্ষক এবং পরিবহণ শ্রমিকরাও অংশ নেন। এছাড়া 'ইয়োলো ভেস্ট' আন্দোলনকারীরাও এতে যুক্ত হন। সংবাদসূত্র : বিবিসি, এএফপি আন্দোলনকারীদের এ ধর্মঘট বৃহস্পতিবারের পরও চলতে পারে বলে বেশকিছু ট্রেড ইউনিয়নের নেতা আভাস দিয়েছেন। পেনশন ব্যবস্থাপনার সংস্কার নিয়ে ম্যাখোঁ তার প্রস্তাব প্রত্যাহার করা না পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলতে পারে। এক জরিপে দেখা যায়, ৬৯ শতাংশ ফরাসি এই কর্মবিরতি সমর্থন করেন। সমর্থনকারীদের বেশির ভাগই ১৮-৩৪ বছর বয়সি। এর আগে ১৯৯৫ সালেও পেনশনব্যবস্থা সংস্কারের এক প্রস্তাবের বিপক্ষে ইউরোপের এ দেশটিতে টানা তিন সপ্তাহের ধর্মঘট হয়েছিল। দেশজুড়ে পরিবহণব্যবস্থা অকেজো করে দেওয়া ওই ধর্মঘটে জনগণের বিপুল সমর্থন থাকায় তৎকালীন সরকার তাদের সংস্কার প্রস্তাব থেকে পরে সরে আসতে বাধ্য হয়। এরই মধ্যে এয়ার ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ৩০ শতাংশ বাতিল করা হয়েছে। ইজিজেটও তাদের দুই শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করেছে। তবে দেশটির সবচেয়ে কম পেনশনধারী কৃষকরা বৃহস্পতিবারের ধর্মঘটে অংশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন। ধর্মঘট শুরুর আগে গত মঙ্গলবার ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ কাস্টনার বলেছিলেন, ধর্মঘট চলাকালে দেশের অন্তত আড়াইশ স্থানে বিক্ষোভ হবে বলে ধারণা করছেন তিনি। এর মধ্যে কিছু প্রতিবাদ সহিংস হতে পারে বলে আশঙ্কা তার। তিনি বলেন, 'অসংখ্য মানুষ এসব প্রতিবাদে অংশ নেবেন এবং আমরা জানি ঝুঁকিগুলো কী। আমি অনুরোধ করেছি, যেসব জায়গায় দাঙ্গা বা সহিংসতার ঘটনা ঘটবে, সেখানে যেন নিয়ম মেনে দাঙ্গাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।' ফ্রান্সের এখনকার পেনশন ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ধরনের 'স্কিম' আছে। ম্যাখোঁ পুরো ব্যবস্থাপনাটিকেই সর্বজনীন একটি পদ্ধতিতে আনতে চাইছেন। তবে তার পরিকল্পনায় পূর্ণাঙ্গ পেনশনপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে এখনকার চেয়ে অন্তত কয়েক বছর বেশি কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পেশাজীবীরা। 'অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট'ভুক্ত (ওইসিডি) দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সেই এখন পূর্ণাঙ্গ পেনশন পাওয়ার ক্ষেত্রে অবসরের বয়সসীমা সবচেয়ে কম, মাত্র ৬২ বছর। যুক্তরাজ্যে এ বয়সসীমা ৬৫।