ন্যাটো সম্মেলন

এবার ট্রুডোকে 'দুমুখো' বলে কটাক্ষ ট্রাম্পের

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জাস্টিন ট্রুডো ও ডোনাল্ড ট্রাম্প -ফাইল ছবি
সামরিক জোট 'নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অরগাইজেশন'র (ন্যাটো) সম্মেলনে যোগ দিয়েই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁকে 'জঘন্য' মন্তব্য করেছিলেন, এবার সম্মেলনের শেষ দিন বুধবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে 'দুমুখো' বলে কটাক্ষ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদসূত্র : রয়টার্স জোটের সদস্যদের উত্তপ্ত বিতর্ক আর বিরোধের মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ট্রাম্পকে নিয়ে কানাডাসহ কয়েকটি দেশের নেতাদের হাসাহাসির ভিডিও। ওই ভিডিওর প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও এদিন তিনি পূর্বনির্ধারিত একটি সংবাদ সম্মেলন বাতিল করেন এবং সময় সংক্ষিপ্ত করে সম্মেলন ছেড়ে চলে যান। কানাডার সম্প্রচারমাধ্যম 'সিবিসি' টুইটারে ভিডিওটি প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, ট্রুডো, বরিস জনসন এবং ম্যাখোঁসহ আরও কয়েকজন বৈঠক শুরুর আগে ট্রাম্পের তাৎক্ষণিকভাবে করা একটি সংবাদ সম্মেলন নিয়ে কথা বলছেন। শুরুতেই বরিস জনসন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি (ট্রাম্প) এত দেরি করলেন কেন? কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো তখন তাদের এ কথার মধ্যে ফোড়ন কেটে বলেন, 'তার দেরি হয়েছে, কারণ তাকে তো ৪০ মিনিট সংবাদ সম্মেলনের পেছনেই ব্যয় করতে হয়েছে।' ট্রাম্পকে উপহাস করে ট্রুডো আরও কিছু কথা বলেন। তাদের কথা যে রেকর্ড হচ্ছে, তা তারা কেউই বুঝতে পারেননি। এরই প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প পরে ট্রুডোকে 'একজন দুমুখো মানুষ' বলে মন্তব্য করেন। পরে অবশ্য জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের পাশে বসে আরেক মন্তব্যে ট্রাম্প ট্রুডোকে 'চমৎকার' মানুষ বলে উলেস্নখ করলেও কানাডা যে ন্যাটো জোটের প্রতিরক্ষা ব্যায়ে দুই শতাংশও দিচ্ছেন না, সেটিও ঢোল পিটিয়ে (উচ্চস্বরে) বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তাদের অর্থ আছে। তাদের উচিত দুই শতাংশ খরচ দেওয়া। ট্রুডো যা দিচ্ছেন, তার চেয়ে বেশি দেওয়া উচিত। লন্ডনে এবার ন্যাটো জোটের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দুইদিনের এ সম্মেলন একের সঙ্গে অপরের এমন ঠোকাঠুকির মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে। তারপরও একতা এবং সংহতি বজায় রাখার চেষ্টাস্বরূপ নেতারা সম্মেলনের একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং সবাই একযোগে ভবিষ্যতের দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন। চীন এবং রাশিয়ার হুমকির বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে নেতারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জোরাল ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।