এবার ত্রিপুরায় গণধর্ষণের পর কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক ভারতের হায়দরাবাদ শহরে এক তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা নিয়ে দেশটিতে বিক্ষোভ চলার মধ্যেই দেশটির ত্রিপুরা রাজ্যে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা অগ্নিদগ্ধ কিশোরীকে হাসপাতালে নিলে সেখানেই মৃতু্য হয় তার। সংবাদসূত্র : টাইমস অব ইনডিয়া গণধর্ষণের শিকার ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ওই তরুণীর বয়স ১৭ বছর। দুই মাস ধরে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা মিলে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে। তারপর শনিবার মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। গত শুক্রবার দক্ষিণ ত্রিপুরার শান্তিবাজার নামক এলাকায় প্রেমিক ও প্রেমিকের মা মিলে ওই তরুণীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দিলে তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। পুলিশ বলছে, প্রতিবেশীরা গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ আরও জানায়, দুই মাস আগে তার প্রেমিক তাকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে। গণধর্ষণের শিকার তরুণীর পরিবার বলছে, অজয় রুদ্রপাল নামের ওই যুবক তাদের কাছে মেয়ের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ হাজার রুপি চেয়েছিল। কিন্তু গত শুক্রবার পর্যন্ত তারা ১৭ হাজার রুপি যোগাড় করতে সমর্থ হলে ক্ষুব্ধ অজয় কিশোরীর গায়ে আগুন দেয়। কিশোরীকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যার খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই, বিক্ষুব্ধ জনতা ওই হাসপাতালে জমায়েত হয়। তারা অভিযুক্ত কিশোর তার মায়ের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ বলছে, মূল অভিযুক্ত অজয়কে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ত্রিপুরা পুলিশ সুপার জল সিং মীনা বলেন, 'গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরীর শরীরে আগুন দেয়া হয়। আমরা তদন্ত করছি।' ঘটনার শিকার কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্ত কিশোরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়। তারপর দেখা করার নামে কিশোর তরুণীকে আটকে রাখে এবং তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু মুক্তিপণের অর্থ না পাওয়ায় সে এবং তার বন্ধুরা মিলে অনেকদিন ধরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার শিকার তরুণীর মা জানিয়েছেন, মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা পুলিশের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ দাখিল করেন। যখন অভিযুক্ত তাদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে, তখনই তারা পুলিশকে বিষয়টি জানান; কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।