কাশ্মীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করুন মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব পাস

ম আটক নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তিসহ ইন্টারনেট চালুর আহ্বান

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ -ফাইল ছবি
যাযাদি ডেস্ক ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উপত্যকায় আটক সব রাজনৈতিক বন্দির নিঃশর্ত মুক্তি ছাড়াও সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সংবাদসূত্র : পিটিআই, এবিপি নিউজ গত ৬ ডিসেম্বর রিপাবলিকান দলের স্টিভ ওয়াটকিন্সের সঙ্গে ওই 'বাইপার্টিসান রেজোলিউশন'টি পেশ করেন ডেমোক্রেট দলের প্রমীলা জয়পাল। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক প্রমীলার ওই প্রস্তাবে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করে বলা হয়েছে, অবিলম্বে জম্মু ও কাশ্মীরে আটক সব রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে হবে। কাশ্মীরের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করার কথাও বলা হয়েছে ওই প্রস্তাবে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকেই উপত্যকায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে সেখানে নিষেধাজ্ঞার কড়াকড়ি শুরু করে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কারফিউ জারি করা, তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীসহ বহু রাজনৈতিক নেতাকে আটক করে রাখা থেকে শুরু করে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ রাখা হয় উপত্যকার স্কুল-কলেজ-দোকানপাট-অফিস। উপত্যকায় জঙ্গি সন্ত্রাসের আশঙ্কাতেই এত কড়াকড়ি বলে দাবি করে মোদি সরকার। এরপর পোস্টপেইড মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন চালু করা হলেও এখনো বন্ধ প্রায় ২০ লাখ প্রিপেইড মোবাইল এবং ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে গত মাসে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। ওই দাবির কয়েকদিন পর মার্কিন কংগ্রেসে এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। তাতে ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে 'জম্মু ও কাশ্মীরের ইন্টারনেট তথা যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর জারি করা বাকি নিষেধাজ্ঞাও যত দ্রম্নত সম্ভব তুলে নেওয়া হোক'। সেই সঙ্গে ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, 'যে সব রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়েছে, তাদের মুক্তি দিতে হবে। ওই বন্দিদের মুক্তির শর্ত হিসেবে কোনো রকম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করা বা ভাষণ না দেওয়ার জন্য বন্ডে সই করানোও বন্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকদের জম্মু ও কাশ্মীরসহ ভারতে স্বাধীনভাবে ঘোরাঘুরির অনুমতি দিতে হবে। ধর্মকে কেন্দ্র করে সব সহিংসতা, বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করা বন্ধ করতে হবে।' ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান- মার্কিন কংগ্রেসের দুই দলের আইনপ্রণেতারা গত কয়েক মাসে কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অক্টোবরে ডেমোক্রেট পার্টির সদস্য ক্রিস ভ্যান জানিয়েছিলেন, মার্কিন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উপত্যকায় যেতে গিয়ে ভারত সরকারের বাধার মুখে পড়েন তিনি। এরপর কাশ্মীর প্রসঙ্গে মার্কিন কংগ্রেসে দুই বার আলোচনা হয়।