উইঘুর নিয়ে বিল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন :চীন

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের ঘটনায় মার্কিন পার্লামেন্টে বিল পাস হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া ওই বিলকে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে সতর্ক করে দিয়েছে বেইজিং। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় ওই প্রদেশের গভর্নর শোহরাত জাকির সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উইঘুর নিয়ে বিতর্কিত প্রচারণা চালানোর অভিযোগ করেন। উইঘুর মুসলমানদের নিপীড়ন ও হংকং বিক্ষোভকারীদের ব্যাপারে সম্প্রতি মার্কিন পার্লামেন্টে বিল পাসের ঘটনায় চিরবৈরী এ দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এই উত্তেজনার ফলে দুই দেশের মাঝে প্রায় ১৭ মাস ধরে চলে আসা বাণিজ্যযুদ্ধের অবসানের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, সেটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল পাস হয়। এই বিলে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমান নিপীড়নের ঘটনায় বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে পাস হওয়া উইঘুর বিলে জিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবির বন্ধ ও মুসলমান নিপীড়ন অবসানের আহ্বান জানানো হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জিনজিয়াংয়ে চীনের মুসলমান নিপীড়নের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, জিনজিয়াংয়ের গণ-আটককেন্দ্রে প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে আটকে রেখেছে বেইজিং। তবে চীন বলছে, সন্ত্রাসবাদের লাগাম টানতে আটককেন্দ্রে মুসলমানদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। জিনজিয়াংয়ের গভর্নর শোহরাত জাকির বলেন, জিনজিয়াংয়ের সন্ত্রাসবাদবিরোধী ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থা থেকে আলাদা নয়। তিনি বলেন, জিনজিয়াংয়ের সামাজিক স্থিতিশীলতার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এক চোখ বন্ধ করে রাখার নীতি বেছে নিয়েছে এবং এই অঞ্চলকে ঘিরে নোংরা প্রচারণা শুরু করেছে। এই ইসু্যকে ব্যবহার করে চীনের জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিবাদের বীজ বপন করছে যুক্তরাষ্ট্র। গভর্নর জাকির দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির জিনজিয়াং শাখার ডেপুটি সেক্রেটারি। তিনি বলেন, জিনজিয়াংকে ব্যর্থ করার যে কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না। বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও জিনজিয়াংয়ের আটক কেন্দ্রের সাবেক বন্দিরা বলেছেন, আটক কেন্দ্রের অবস্থা অত্যন্ত নিম্নমানের। এছাড়া শিবিরের ভেতরে বন্দিদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। রাজধানী বেইজিংয়ে গভর্নর জাকির এক সংবাদ সম্মেলনে জিনজিয়াং প্রদেশে অতীতে সংঘটিত সহিংসতার ছবি তুলে ধরেন। এছাড়া জিনজিয়াংয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শিরোনামে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেন তিনি; যা দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল 'সিজিটিএনে' সম্প্রচার করা হয়।