নানাবতী কমিশনের তদন্ত

গুজরাট দাঙ্গায় 'নির্দোষ' তকমা পেলেন মোদি

রাজ্যটির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও তার মন্ত্রিপরিষদকেও ক্লিনচিট দেয়া হয়েছে

প্রকাশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা গুজরাট দাঙ্গায় তদন্তকারী নানাবতী কমিশনের তরফ থেকে 'ক্লিনচিট' বা 'নির্দোষ' তকমা পেয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যটির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ তার মন্ত্রিপরিষদ। রাজ্য সরকারের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার পাঁচ বছর পর বুধবার গুজরাটের বিধানসভায় কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপসিংহ জাদেজা। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ ২০০২ সালে গুজরাটের গোধরায় ট্রেনে আগুনে ৫৯ জন হিন্দু নিহত হওয়ার ঘটনার সূত্র ধরে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের বেশিরভাগ ছিলেন মুসলমান। ওই ঘটনায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জি টি নানাবতী ও অক্ষয় মেহতার সমন্বয়ে বিচারিক তদন্ত কমিশন গঠন করেন। কমিশন ২০১৪ সালে আনন্দীবেন প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তিন দিন ধরে রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা ভয়াবহ ওই সহিংসতা রোধে 'প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং আগ্রহ না দেখানোর' অভিযোগে কমিশন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, 'কিছু জায়গায় উন্মত্ত জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ অকার্যকর ছিল।' হিন্দু পুণ্যার্থীদের একটি ট্রেনে লাগা আগুনে ৫৯ জন নিহত হওয়ার ঘটনা থেকে ওই দাঙ্গার দাঙ্গার সূত্রপাত। ট্রেনে আগুন দেওয়ার জন্য মুসলমানদের দায়ী করে প্রতিশোধের নেশায় উন্মত্ত হিন্দু জনতা গুজরাটের শহর ও গ্রামগুলোর মুসলমান জনবসতিতে তিন দিন ধরে তান্ডব চালায়। আহমেদাবাদের গুলবার্গ আবাসিক কমপেস্নক্স হামলাকারীদের অন্যতম লক্ষ্যস্থল ছিল। সেখানে অনেক মুসলমানকে পুড়িয়ে মারা হয় ও তাদের ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। নিহতদের মধ্যে কংগ্রেস দলীয় সাবেক এমপি ও প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ইহসান জাফরিও ছিলেন। নিহত জাফরির বিধবা স্ত্রী জাকিয়া জাফরি জানিয়েছেন, তার স্বামী সাহায্য চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোদিকে ফোন করেছিলেন, কিন্তু সাহায্য আর আসেনি। গুলবার্গ হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন জানিয়েছেন, উত্তেজিত জনতা তাদের এলাকায় হামলা করার পর আত্মরক্ষার্থে জাফরি নিজের বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়েছিলেন।