ইরাক-সিরিয়ায় ৩০ হাজার আইএস এখনো সক্রিয় : জাতিসংঘ

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
পরাজিত হওয়ার পরও সিরিয়া ও ইরাকে ২০ থেকে ৩০ হাজারের মতো ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি এখনো সক্রিয় রয়ে গেছে। সোমবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পযের্বক্ষণ দলের অনুমান, দেশ দু’টিতে অবস্থানরত আইএস জঙ্গিদের মধ্যে তিন থেকে চার হাজার হচ্ছে লিবিয়াভিত্তিক। উল্লেখ্য, নিষেধাজ্ঞা পযের্বক্ষণ দল প্রতি ছয় মাস পরপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আইএস সম্পকির্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। সংবাদসূত্র : আল-জাজিরা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থানরত আইএস জঙ্গিদের মধ্যে কয়েক হাজার সক্রিয় বিদেশি সন্ত্রাসী যোদ্ধা রয়েছে। জঙ্গিগোষ্ঠীটির কয়েকজন শীষর্ সদস্যকে আফগানিস্তানে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। আইএসের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ইরাক, সিরিয়া ও আশপাশের এলাকায় কথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা। ২০১৪ সালের শুরুতে আইএস সিরিয়ার রাকা শহর দখল করে নিয়ে একে রাজধানী ঘোষণা করে। একই বছরের জুন মাসে গোষ্ঠীটি ইরাকের মসুল শহর দখল করার পর এর নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি খিলাফতের ঘোষণা দেন। এক বছরের মধ্যে আইএস সিরিয়ার পূবার্ঞ্চলের বেশিরভাগ শহর ও ইরাকের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়। ওই বছরই আইএসকে ঠেকাতে ও চ‚ড়ান্তভাবে পরাজিত করতে ৭৭টি দেশ মিলে আন্তজাির্তক জোট গঠন করে। ২০১৭ সালের মধ্যে সংগঠনটি সামরিক পরাজয় বরণ করে ও এর রাজধানীসহ সব বড় শহর থেকে বিতাড়িত হয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে সিরিয়ার একটি ছোট এলাকার মধ্যে আটকে পড়ে আইএস। তবে নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার পূবার্ঞ্চলে সংগঠনটি এখনো অনেক বেশি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। সিরিয়ায় আইএস এখনো বড় ধরনের হামলা করতে সক্ষম। গোষ্ঠীটি ইরাকের কোনো অঞ্চেলের পূণর্ নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারলেও ‘¯িøপার সেলের’ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে। তাদের লোকজন মরুভ‚মিসহ অন্যান্য এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিদেশিদের আইএস ত্যাগের হার অনুমানের চেয়ে এখনো অনেক কম। তবে সংগঠনটিতে নতুন করে বিদেশি জঙ্গিদের যোগ দেয়ার প্রবণতা তেমন দেখা যাচ্ছে না। যারা আছে, তাদের বেশিরভাগই এখন আফগানিস্তানের দিকে যাচ্ছে। দেশটিতে এখন সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার হাজার আইএস সদস্য রয়েছে। তবে দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে।