ভয়াবহ বন্যার কবলে ভারতের কেরালা, বিমানবন্দর বন্ধ

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভরতের কেরালায় স্মরণকালের ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় সরকারি হিসাবে এখন পযর্ন্ত ৪৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বেসরকারি দাবি এই সংখ্যার দ্বিগুণ। আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েকশ কোটি টাকা। বিগত এক শতকে এমন ভয়াবহ বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয়নি রাজ্যটি। ১৯২৪ সালের পর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এবারের তীব্র বষের্ণই কেরালায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এই নিয়ে সপ্তম দিনে পড়েছে কেরালার বন্যা পরিস্থিতি। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, ইনডিয়ান টাইমস বন্যার পানি রানওয়ে ও পাকির্ং এলাকায় ঢুকে পড়ায় কেরালার কোচি বিমানবন্দর শনিবার পযর্ন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্যে জারি করা হয়েছে ‘রেড অ্যালাটর্’। ভারী বষর্ণ ও বন্যায় কেরালার ট্রেন যোগাযোগব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ট্রেন দেরিতে যাতায়াত করছে, অনেকগুলোর যাত্রাও বাতিল করা হয়েছে। মুল্লাপেরিয়ার বঁাধের অতিরিক্ত পানি নিতে তামিলনাড়– সরকার অস্বীকার করার জের ধরেই কেরালায় এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ওই বঁাধে পানির এরই মধ্যে সবোর্চ্চ ১৮২ ফুটে পেঁৗছেছে। মুল্লাপেরিয়া বঁাধের পানির ভাগ নিয়ে সুপ্রিম কোটের্র দ্বারস্থ হয়েছে দুই প্রতিবেশী রাজ্যও। আদালত এখন পযর্ন্ত কোনো সিদ্ধান্ত না দেয়ায় মঙ্গলবার রাতে সেটি খুলে দেয়া হয়। বৃষ্টি বুধবার নাগাদ কমে আসতে পারে বলে অনেকে আশা প্রকাশ করলেও এটি শনিবার পযর্ন্ত চলতে পারে বলে পূবার্ভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। কতৃর্পক্ষ বুধ ও বৃহস্পতিবার কেরালার বেশ কয়েকটি জেলায় রেড অ্যালাটর্ও জারি করেছে। এদিকে, ফ্লাইট পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়ায় বুধবার ভোরের দিকে কোচি বিমানবন্দরের কাযর্ক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে এক মুখপাত্র পানির মাত্রা বাড়তে থাকায় বিমানবন্দরটি শনিবার দুপুর ২টা পযর্ন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানান। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইডুক্কি জলাধারের দুটি বঁাধের ফটক খুলে দেয়ার পরপরই বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত আসে। এসব বঁাধের ফটক খুলে দেয়ার পর থেকে ইডুক্কি জেলার পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে কতৃর্পক্ষ। বঁাধগুলোর ফটক খুলে দেয়ার আগে পেরিয়ার নদীর তীর থেকে হাজার হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়।