অবশেষে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল রহস্যের সমাধান!

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
পৃথিবীতে যতগুলো রহস্য নিয়ে এতদিন মানুষের সবচেয়ে বেশি উৎসাহ ও জিজ্ঞাস্য ছিল, বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল তার মধ্য অন্যতম। এ এমন এক ধঁাধার নাম, যা যুগের পর যুগ ধরে মানুষকে বিস্ময়ের জগতে আটকে রেখে দিয়েছিল। হাজারো চেষ্টা করেও এর সমাধান করতে পারছিলেন না বিজ্ঞানীরা। ফলে জন্ম নিয়েছিল একের পর এক মিথ। তবে সম্ভবত বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্যভেদে শেষপযর্ন্ত একটি সূত্র খঁুজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ৫ লাখ বগির্কলোমিটার আয়তনের এই এলাকাÑ যা বারমুডা, ফ্লোরিডা ও পুয়েতোর্ রিকোকে ঘিরে ত্রিভুজ বলয় তৈরি করে ভয়ঙ্কর মিথ হয়ে রয়েছে, তার সমাধান সম্ভবত করে ফেলা গেছে। কী সমাধান করেছেন বিজ্ঞানীরা, তা জানার আগে একবার জেনে নেয়া যাক পৃথিবীর অন্যতম এই বিস্ময়টি সম্পকের্। রহস্যময় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল আটলান্টিক মহাসাগরের তিন প্রান্ত দিয়ে সীমাবদ্ধ ত্রিভুজাকৃতির একটি বিশেষ এলাকা, যেখানে বহু জাহাজ ও বিমান রহস্যজনকভাবে নিখেঁাজ হওয়ার কথা বলা হয়। এরই নাম বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। তবে এর কুখ্যাতির জন্য একে ‘শয়তানের ত্রিভ‚জ’-ও বলা হয়। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল যে তিনটি প্রান্ত দ্বারা সীমাবদ্ধ তার এক প্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আর এক প্রান্তে পুয়েতোর্ রিকো এবং অপর প্রান্তে ওয়েস্ট ইনডিজের বারমুডা দ্বীপ অবস্থিত। কেন এত রহস্য এই শয়তানের ত্রিভ‚জকে ঘিরে? এই অঞ্চলের রহস্যের মূল কারণ হলো, এখানে কোনো জাহাজ বা বিমান একবার প্রবেশ করার পরই তার বেতার যোগাযোগ সম্পূণর্ বন্ধ হয়ে যায়, দিক নিদের্শক কম্পাস ভুল দিক নিদের্শ করতে থাকে। একসময় জাহাজটি বা উড়োজাহাজটি অদৃশ্য হয়ে যায়। যে জাহাজ বা বিমান একবার এর মধ্যে ঢুকেছে, তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এসবই যুগের পর যুগ ধরে মিথ হয়ে রয়েছে এই রহস্যময় অঞ্চলকে ঘিরে। আর তাই একে ঘিরে তৈরি হয়েছে একের পর এক গল্প। কখনও শত্রæপক্ষের আক্রমণের গল্প করা হয়েছে, আবার কখনও ভিনগ্রহের বাসিন্দাদেরও এই ঘটনার নেপথ্যে থাকার জন্য দায়ী করা হয়েছে। তবে সমাধান সম্ভবত পেয়ে গেছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলে এমন একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, আবহাওয়ার কারণে এই অঞ্চলে ষড়ভুজ মেঘের উৎপত্তি এবং গঠনই জাহাজ ও বিমানের গায়েব হওয়ার পেছনে দায়ী। বলা হচ্ছে, এই অঞ্চলে এই ষড়ভুজী মেঘ এমনভাবে জমাট বঁাধছে যে, তার ফলে ‘বায়ুবোমা’ তৈরি হচ্ছে। যার ফলে বাতাসের গতি বেড়ে দঁাড়ায় ১৭০ মাইল বা ২৭৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। যার ক্ষমতা রয়েছে পানিতে ভাসা বড় জাহাজ অথবা আকাশে ওড়া বিমানকে সমুদ্রের বুকে আছড়ে ফেলার। এই ধরনের বায়ুর গোলা সমুদ্রের ওপরে আছড়ে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে তুমুল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়, যা এই অঞ্চলকে অশান্ত করে তোলে, এমনটাই জানানো হয়েছে রিপোটের্। অবশ্য এই ধরনের রিপোটর্ কিছু নতুন নয়। এর আগেও বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল নিয়ে অনেক রিপোটর্ বেরিয়েছে। এই ঘটনাই আসল কারণ কিনা, সেটা আরও ভবিষ্যতে যাচাইয়ের পরই বোঝা যাবে। সংবাদসূত্র : ওয়ান ইনডিয়া, ডেইলি মেইল