ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাট্টা তিন শতাধিক গণমাধ্যম

জ্জ সাংবাদিকরা কারও শত্রæ নয় জ্জ সংবাদমাধ্যমের কাজকে বিপজ্জনক করে তুলেছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছে তিন শতাধিক গণমাধ্যম। গণমাধ্যমের ওপর ট্রাম্পের লাগাতার আক্রমণের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দেশটির তিন শতাধিক গণমাধ্যম ‘স্বাধীন গণমাধ্যম’ প্রচারণা শুরু করছে। ‘বোস্টন গেøাব’ গত সপ্তাহে যে আহŸান জানিয়েছিল, তাতে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এ প্রচার শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের ‘নোংরা যুদ্ধ’র বিরুদ্ধে দেশব্যাপী এই প্রচার চালাতে হ্যাশট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘সাংবাদিকরা কারও শত্রæ নয়’। সংবাদসূত্র : বিবিসি ট্রাম্প গণমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ‘ফেইক নিউজ’ বা ‘ভুয়া সংবাদ’ এবং সাংবাদিকদের জনগণের শত্রæ হিসেবে ঘোষণা করেন। বিশ্লেষকদের ধারণা, এর মাধ্যমে সংবাদকমীের্দর কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। বোস্টন গেøাব বৃহস্পতিবার ‘গণমাধ্যমের ওপর প্রশাসনিক লাঞ্ছনার ভয়াবহতা’ শিরোনামে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। তারা একই সঙ্গে সবাইকে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানায়। এই আহŸানে দেশটির জাতীয় ও স্থানীয় তিন শতাধিক গণমাধ্যম সাড়া দেয়। পাশাপাশি আন্তজাির্তক সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের ‘গাডির্য়ানের’ মতো আন্তজাির্তক প্রকাশনাও এ প্রচারাভিযানে যোগ দিয়েছে। ‘দ্য গাডির্য়ানে’ প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ট্রাম্পই যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি দৃঢ়ভাবে গোপনে সংবাদমাধ্যমের কাজের ক্ষতিসাধনের নীতি নিয়েছেন, এমনকি সংবাদমাধ্যমের কাজকে বিপজ্জনক করে তুলেছেন। বোস্টন গেøাবের শিরোনামে বলা হয়, সাংবাদিকরা কারও শত্রæ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ বছর ধরে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে একটি গুরুত্বপূণর্ নীতি হিসেবে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে। কিন্তু আজ সেটি কঠিন হুমকির মুখে রয়েছে। নিরপেক্ষভাবে যারা কাজ করতে চায়, তাদের জন্য এটি খুবই বিপজ্জনক সংবাদ। প্রাথমিকভাবে ১০০ সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান তাদের এ আহŸানে সাড়া দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সংবাপত্রগুলোর পাশাপাশি ছোট ছোট স্থানীয় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোও ওই আহŸানে সাড়া দেয়ায় সংখ্যাটি সাড়ে তিনশর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ‘নিউইয়কর্ টাইমস’ তাদের সম্পাদকীয়র শিরোনাম করেছে- ‘এ ফ্রি প্রেস নিডস ইউ’। এতে ট্রাম্পের আক্রমণকে ‘গণতন্ত্রের প্রাণশক্তির জন্য বিপজ্জনক’ হিসেবে বণর্না করে তার বহু বক্তব্য থেকে বিভিন্ন উক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ফিলাডেলফিয়া ‘ইনকোয়ারার’ লিখেছে, অজনপ্রিয় দৃষ্টিভঙ্গি অথবা তথ্য প্রকাশের জন্য সংবাদপত্র যদি প্রতিশোধ, শাস্তি ও সন্দেহ মুক্ত থাকতে না পারে, তাহলে এই দেশও মুক্তি থাকতে পারে না, জনগণও নয়। রিপাবলিকান পাটির্র সমথর্কদের মধ্যে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যায়, গণমাধ্যম ‘গণতন্ত্রের গুরুত্বপূণর্ অংশ না হয়ে জনগণের শত্রæও হতে পারে’ এমন ধারণায় বিশ্বাস করেন ৫১ শতাংশ উত্তরদাতা। ট্রাম্পের সমালোচনার কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরু হতে পারে- এমন উদ্বেগের সঙ্গে একমত নন ৫২ শতাংশ উত্তরদাতা। তবে ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, সংবাদমাধ্যম যে গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূণর্ অংশ, তা তারা বিশ্বাস করেন।