কাবুলে এবার গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বন্দুক হামলা

একটি কোচিং সেন্টারে আত্মঘাতী বোমা হামলার একদিন পর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে এই হামলা চালানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। এর আগের দিন এই কাবুলেই একটি কোচিং সেন্টারে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩৪ জন নিহত হন। সংবাদসূত্র : এএফপি, আল-জাজিরা, রয়টাসর্ কাবুল পুলিশের মুখপাত্র হাশমত স্টানিকজাই বলেছেন, ‘সংঘষর্ এখনো চলছে এবং আফগান নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। আমরা এই মুহূতের্ ভবনে আটকেপড়া লোকদের বের করে আনার কাজ করছি।’ আফগান কমর্কতার্রা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সকাল ১০-১৫ মিনিটে কালা-ই-ওয়াজির এলাকায় জাতীয় নিরাপত্তা পরিচালকের দপ্তর নিয়ন্ত্রিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালানো হয়। স্টানিকজাই জানিয়েছেন, ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিপরীতে নিমার্ণাধীন একটি ভবন থেকে বন্দুকধারীরা গুলি ছুড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা কমপক্ষে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। এর আগে বুধবার কাবুলের একটি কোচিং সেন্টারে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। ওই ঘটনায় নিহত হন ৩৪ জন। বুধবারের ওই হামলায় প্রথমে ৪৮ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হলেও কতৃর্পক্ষ বৃহস্পতিবার সেটা সংশোধন করে ৩৪ জনে নামিয়ে এনেছে। হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে নেয়ার সময় কিছু মৃতদেহ দুইবার গণনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি। আহতের সংখ্যাও সংশোধন করা হয়েছে। আগে ৫৬ জন আহতের কথা বলা হলেও পরে ৬৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিম কাবুলের শিয়া হাজারা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকার ওই কোচিং সেন্টারটিতে নিয়মিত ক্লাস চলার সময় এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হেঁটে সেখানে প্রবেশ করে এবং শরীরে বঁাধা বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটায়। নিহতদের বেশিরভাগই তরুণ। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভতির্ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিতে মাবৌদ একাডেমি নামের ওই কোচিং সেন্টারে ক্লাস করছিলেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হামলাকারী কোচিং সেন্টারটির পেছনের দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে; শতাধিক শিক্ষাথীর্ যেখানে অবস্থান করছিলেন সেই ক্লাসরুমটিতে পেঁৗছেছিল। শেষ খবর পাওয়া পযর্ন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নয় বলে জানিয়েছে তালেবান। আফগানিস্তানে সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) প্রায়ই হাজারা সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে থাকে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক হামলায় বেসামরিক, সেনা ও পুলিশ সদস্যসহ শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন।