রাজপরিবারে টানাপড়েন

হ্যারি-মেগানের সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন রানির

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কেল রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে স্বাধীন জীবনযাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সোমবার রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে ব্রিটিশ রানি বলেন, হ্যারি ও মেগান কানাডা এবং যুক্তরাজ্যে তাদের সময় ভাগাভাগি এবং স্বাধীন জীবনযাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে অনুমতি দিচ্ছেন তিনি। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স গত বুধবার ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের ভূমিকা পালন সীমিত করার ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তারা যুক্তরাজ্য এবং উত্তর আমেরিকায় তাদের সময় ভাগাভাগি এবং আর্থিকভাবেও স্বাধীন হতে চান, যাতে রাজকোষের অর্থের ওপর তাদের নির্ভর করতে না হয়। তাদের এই ঘোষণার পর থেকে ব্রিটিশ রাজপরিবারে নজিরবিহীন সংকট তৈরি হয়। কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় আলোচনা ও পরামর্শের পর সোমবার রাজপরিবারের সদস্যদের সংকটকালীন বৈঠকে তলব করেন রানি। হ্যারি এবং মেগান দম্পতি রাজপরিবারে নিজেদের ভূমিকা সীমিত করতে যে বিবৃতি দিয়েছেন, সে ব্যাপারে আলোচনা করতেই ওই বৈঠক ডাকা হয়। রানি বলেন, 'বৈঠকে হ্যারি, তার ভাই প্রিন্স উইলিয়াম ও তাদের বাবা প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।' সোমবার ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলের নরফোকে 'সান্ড্রিংহাম এস্টেটে' ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর ৯৩ বছর বয়সী রানি এক বিবৃতিতে বলেন, 'তরুণ পরিবার হিসেবে নতুন জীবনের যে আকাঙ্ক্ষা করছেন হ্যারি এবং মেগান, আমার পরিবার এবং আমি তাতে পুরোপুরি সমর্থন জানাচ্ছি।' তিনি বলেন, 'যদিও আমরা চাই তারা দুজনই রাজপরিবারের পূর্ণ দায়িত্ব পালন করুক। তবে পরিবার হিসেবে স্বাধীন জীবনযাপনে আমরা তাদের ইচ্ছা বুঝতে পারছি এবং এটার প্রতি সম্মান জানাই। তারপরও তারা আমার পরিবারের মূল্যবান অংশ হিসেবেই থাকবে।' ২০১৮ সালের মে মাসে প্রিন্স হ্যারি মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে বিয়ে করার পর তার বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে বলে ব্রিটিশ বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা সময়ে খবর প্রকাশিত হয়। তবে প্রিন্স হ্যারি গণমাধ্যমের এমন খবরকে 'ভিত্তিহীন' দাবি করে উড়িয়ে দিয়েছেন। গত বছরের অক্টোবরে এ নিয়ে তারা হতাশা এবং দুঃখের কথা জানিয়েছিলেন। প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান বলেন, অনেক চিন্তাভাবনা করেই তারা রাজপরিবারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান মার্কেলের সঙ্গে যে ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের সম্পর্ক খুব সুমধুর নয়, এ রকম খবর নিয়মিতই প্রকাশ করা হচ্ছিল দেশটির গণমাধ্যমে। হ্যারি-মেগান কেন রাজপরিবারের মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব ছেড়ে সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে চাইছেন, তা নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়। এর মধ্যেই যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিন্স উইলিয়ামের 'রূঢ় আচরণের' কারণে রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান। তবে ওই প্রতিবেদনের তথ্য 'ডাহা মিথ্যা' উলেস্নখ করে হ্যারি ও উইলিয়ামের পক্ষে সোমবার বিবৃতি দেওয়া হয়।