সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তুষারধসে দুই কাশ্মীরে ৬৭ জন নিহত যাযাদি ডেস্ক পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে তুষারধসের ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫৭ জনের মৃতু্য হয়েছে বলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আর প্রতিবেশী দেশ ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীরে মৃতু্য হয়েছে তিন সেনাসহ কমপক্ষে আরও ১০ জনের। ভারি বৃষ্টিপাতের পর পাক নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নিলম উপত্যকায় এ তুষারধসে অনেক গ্রামবাসী আটকাও পড়েছেন বলে মঙ্গলবার দুই দেশের কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। ভারি বৃষ্টিপাতের পর ওই এলাকায় ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। তুষারধস ও ভূমিধসে অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পকিস্তানের সংবাদমাধ্যগুলো জানিয়েছে, কেবল রোববার ও সোমবারই বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভূমিধস, তুষারধস ও ভারি বৃষ্টিপাতজনিত কারণে অন্তত ৩৫ জনের মৃতু্য হয়েছে। ভারি বর্ষণের পর ভূমিধস ও তুষারধসে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর, গিলগিট-বালতিস্তান, মালাকান্ড ও হাজারা বিভাগের প্রধান সড়ক ও মহাসড়কগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হওয়ার তালিকায় কারাকোরামের মহাসড়কও আছে। অন্যদিকে, তুষারপাতের কারণে খাইবার পাখতুনখোয়ার চিত্রল এলাকাটি প্রদেশটির অন্যান্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সংবাদসূত্র : ডন, রয়টার্স যুক্তরাষ্ট্র থেকে সৌদির ২১ সেনা বহিষ্কার যাযাদি ডেস্ক গত মাসে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি বিমানঘাঁটিতে এক সৌদির চালানো প্রাণঘাতী হামলার পর করা পর্যালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশটির সামরিক বাহিনীর ২১ সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত এই সৌদিরা হামলাকারী সৌদি বিমানবাহিনীর ওই লেফটেন্যান্টকে সাহায্য করেছিলেন বলে কোনো প্রমাণ পাওয়া না গেলেও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বহিষ্কৃতদের কাছে জিহাদি উপাদান ও শিশুদের অশ্লীল ছবি পাওয়া যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। গত ৬ ডিসেম্বর ফ্লোরিডার পেন্সাকোলা নৌ-বিমানঘাঁটিতে সৌদি বিমানবাহিনীর সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মোহাম্মেদ সায়িদ আলশামরানির (২১) গুলিতে তিন মার্কিন নাবিক নিহত ও আরও আট জনকে আহত হন। হামলার এক পর্যায়ে একজন মার্কিন ডেপুটি শেরিফের পাল্টা গুলিতে আলশামরানি নিহত হন। সংবাদসূত্র : বিবিসি সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল বার নৌ-বিমান ঘাঁটির ওই হামলার ঘটনাকে 'সন্ত্রাসবাদী কাজ' বলে মন্তব্য করেছেন। এই ২১ সৌদি সামরিক প্রশিক্ষণার্থীকে বহিষ্কার করে সোমবার দেশে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ৮৫০ জনের বেশি সৌদি সামরিক প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। চুক্তি না করেই মস্কো ছাড়লেন হাফতার যাযাদি ডেস্ক যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর না করেই রাশিয়ার রাজধানী মস্কো ছেড়েছেন লিবিয়ার বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতার। গত সোমবার লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ওই খসড়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সময় চায় হাফতার বাহিনী। তবে এদিন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার মস্কো ছাড়ার খবর জানিয়েছে। সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ে্যপ এরদোয়ান এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন লিবিয়ার দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। ত্রিপোলির জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার এই আহ্বানকে স্বাগত জানায়। পরে হাফতার বাহিনী ওই আহ্বান মেনে নিয়ে রাশিয়ায় লিবিয়ার সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসে। এতে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়। সোমবারের আলোচনা শেষে চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে খসড়া চুক্তিতে হাফতারের নেতৃত্বাধীন 'ন্যাশনাল আর্মি'র অনেক দাবি পূরণ হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সে কারণেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি হাফতার। সংবাদ সূত্র : আল-জাজিরা