রাশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মিখাইল মিশুস্তিন
রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে দিমিত্রি মেদভেদের পদত্যাগের ঘোষণা পর সংসদে চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল 'ইউনাইটেড রাশিয়া' নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কর বিভাগের প্রধান মিখাইল মিশুস্তিনকে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন দিয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির সংসদের নতুন স্পিকার হিসেবে আনাস্তাসিয়া কাশেভারোভার প্রার্থিতায় অনুমোদন দিয়েছে দলটি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিখাইল মিশুস্তির নাম ঘোষণা করেছিলেন পুতিন। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স ৫৩ বছর বয়সী মিশুস্তিন ১৯৯৯ সাল থেকে সরকারে কাজ করে আসছেন এবং ২০১০ সাল থেকে ফেডারেল ট্যাক্স সার্ভিসের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে পুতিনের কাছে পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর দিমিত্রি মেদভেদ এখন রাশিয়ার প্রভাব বিস্তারকারী নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে বুধবার রাশিয়ার পুরো সরকার ব্যবস্থা পদত্যাগের ঘোষণা দেয়। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বুধবার রুশ প্রেসেডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন দেশটির সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রস্তাব দেওয়ার পর গোটা সরকার পদত্যাগ করে। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে পুতিন বলেন, 'রাশিয়ায় বড় ধরনের সাংবিধানিক পরিবর্তনের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদের নির্বাচনে পার্লামেন্টকে ক্ষমতা দেয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। দেশের সাংবিধানিক পরিবর্তনের জন্য গণভোটেরও প্রস্তাব দেন পুতিন। ভোটের নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ ঘোষণা না করেই তিনি বলেন, সংবিধানের আমূল পরিবর্তনে দেশের মানুষের মধ্যে ভোট হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি। রাশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, দেশটিতে কেউ দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন না। ফলে ২০২৪ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুতিন বর্তমান সংবিধানের অধীনে আর রাশিয়ার নেতা থাকতে পারবেন না। তাই সংবিধান পরিবর্তনের এমন প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার স্থানীয় দৈনিক দ্য মস্কো টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংবিধানের এই আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে পুতিন ভবিষ্যতে আবার রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় আসছেন। পুতিনের সমালোচকদের দাবি, অতীতের মতো সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতেই এ পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা তার। তবে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অধিকাংশ রুশ নাগরিকদের কাছে পুতিন এখনও জনপ্রিয়। দেশের স্থিরতা রক্ষায় তাকে 'কল্যাণকর ব্যক্তি' হিসেবে বিবেচনা করে তারা। পুতিন ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকার পর এক চালাকি করেন। সংবিধান সংশোধন করে তিনি প্রেসিডেন্টের চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়িয়ে ওই বছর রুশ প্রধানমন্ত্রী হন।