ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১১ মার্কিন সেনা বিপর্যস্ত

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি হত্যার বদলায় ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান, তাতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ১১ সেনাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন 'সেন্ট্রাল কমান্ড' এ তথ্য দিয়েছে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, এএফপি মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল আরবান বিবৃতিতে বলেন, ইরাকের আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের ৮ জানুয়ারির হামলায় কোনো মার্কিন সেনা নিহত না হলেও ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের ফলে কয়েকজনের মধ্যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার লক্ষণ দেখা যায়; তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে রাখা হয়েছে। বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার কয়েকদিন পর পশ্চিম ইরাকে ও উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দি অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর দুটি সামরিক ঘাঁটিতে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে তখন পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড ইরানের ওই হামলার পর কিছু সেনার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে তাদেরকে জার্মানি ও কুয়েতের বিভিন্ন স্থাপনায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওই সেনারা যখনই দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত বলে বিবেচিত হবে, তখনই তাদের ফিরিয়ে আনা হবে। পশ্চিম ইরাকের দুর্গম আনবার মরুভূমিতে অবস্থিত আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত এক হাজার ৫০০ সেনা আছে। ইরানের হামলায় ঘাঁটিটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। এদিকে, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটিতে যখন ইরান হামলা চালায়, সে সময় দেশটির আকাশে টহল দিচ্ছিল উচ্চ-নজরদারির ক্ষমতাসম্পন্ন সাতটি মার্কিন ড্রোন। ঘাঁটির নজরদারিতে নিয়োজিত ওই ড্রোনগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর 'চোখ' আখ্যা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ইরানের হামলার সময় এগুলোর সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে 'অন্ধ' হয়ে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। জানা গেছে, আইন আল-আসাদ ঘাঁটিতে হামলা শুরুর পর আকাশ থেকে আর যোগাযোগ করতে পারেনি মার্কিন বাহিনী। ইরাকের আকাশে টহলরত সাতটি চালকবিহীন বিমানের মধ্যে 'এমকিউ-ওয়ানসি গ্রে ঈগল' নামের আধুনিক ড্রোন ছিল। যেটি টানা সাত ঘণ্টা উড়তে এবং চারটি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র বহন সক্ষম। এই সব ড্রোনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছিল না মার্কিন বাহিনী। বলা হচ্ছে, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই যোগাযোগের ফাইবার লাইনগুলো আগুনে পুড়ে যায়। এতে ড্রোনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।