১০, ৯, ৮... এরপর বুম! এবং সবকিছু শেষ

সোলাইমানি হত্যার শেষ মুহূর্তের নাটকীয় বর্ণনা দিলেন ট্রাম্প

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কাসেম সোলাইমানি ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইরানের বিপস্নবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় শেষ মুহূর্তের নাটকীয় বর্ণনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিজের পক্ষে সাফাইও গেয়েছেন। সংবাদসূত্র : সিএনএন রিপাবলিকান দাতাদের এক সভায় শুক্রবার ট্রাম্প বলেন, ওই ইরানি জেনারেল যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছিলেন। সেদিন ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের একটি রিসোর্টে রিপাবলিকান দাতারা জড়ো হয়েছিলেন। ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা এবং রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন ওই রিপাবলিকান দাতারা। সেখানেই ইরানি জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার কারণেই সোলাইমানিকে হত্যার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছিলেন তিনি। ফ্লোরিডার ওই সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, 'এ ধরনের বাজে কথা আমাদের আর কত শুনতে হবে?' গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয়। জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। এর আগেও সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন ট্রাম্প। সে সময় এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন, 'আমরা সোলাইমানিকে হত্যা করেছি। সব দিক থেকেই তিনি ছিলেন বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী। এই ব্যক্তি অনেক মার্কিন নাগরিককে হত্যা করেছেন। এবার আমরা তাকে হত্যা করলাম।' ওই সভায় কোনো সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে সিএনএন জানিয়েছে, তারা একটি অডিও হাতে পেয়েছে। যদিও ওই অডিওতে সোলাইমানি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি এমন কথার পুনরাবৃত্তি করেননি ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছেন, হামলার আগে সোলাইমানি যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে খারাপ কথা বলেছেন। যার কারণে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এর আগে হোয়াইট হাউস অভিযোগ করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর নাগরিকদের জন্য আসন্ন হুমকি হয়ে উঠেছিল ইরান। চারটি দূতাবাসে হামলার আশঙ্কা ছিল। ফ্লোরিডার পাম বিচের 'মার এ লাগো' ক্লাবে সোলেইমানি হত্যাকান্ড নিয়ে ট্রাম্প এমন নাটকীয়ভাবে বর্ণনা করছিলেন, যেন সোলাইমানিকে যখন হত্যা করা হয়, তখন তিনি হোয়াইট হাউসে বসে পুরো ঘটনাই পর্যবেক্ষণ করছিলেন। ট্রাম্প বলেন, সেনা কর্মকর্তারা তাকে বলেছিলেন, 'স্যার তারা একসঙ্গে। তাদের হাতে আর সময় আছে দুই মিনিট ১১ সেকেন্ড। স্যার তারা গাড়িতে, তাদের গাড়িটি অস্ত্রে সজ্জিত। তাদের হাতে আর এক মিনিট সময় আছে। একেবারে শেষ মুহূর্তে কর্মকর্তারা বলেন, আর মাত্র ৩০ সেকেন্ড। ১০, ৯, ৮... এরপর বুম! এবং সবকিছু শেষ। ট্রাম্প এভাবেই ওই ড্রোন হামলার বর্ণনা দিয়েছেন। তবে তার এই বর্ণনা নিয়ে অনেক মার্কিন আইনপ্রণেতাই সমালোচনা করেছেন। কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা তার কোনো উপদেষ্টাই সেখানে উলেস্নখ করেননি, সোলাইমানি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি ছিলেন।