জেপি নাড্ডা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিজেপি সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হলেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা জগৎ প্রকাশ (জেপি) নাড্ডা। এক বছর ধরে দলের কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব পালন শেষে সোমবার দিলিস্নতে বিজেপির সদর দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে দায়িত্ব অর্পণ করেন বিজেপির সদ্য সাবেক সভাপতি অমিত শাহ। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি আগামী তিন বছরের জন্য জেপি নাড্ডা দলটির সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় দলের সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা পর বেলা ১১টায় তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। অন্য কেউ ওই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় ভোটাভুটি ছাড়াই বিকাল ৩টার দিকে দলের সভাপতি হিসেবে জেপি নাড্ডার নাম ঘোষণা করেন রাধামোহন সিং। বিজেপির দপ্তরে তখন হাজির ছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করিসহ বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। এতদিন বিজেপির সভাপতি পদ সামলেছেন অমিত শাহ। কিন্তু গত বছর লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হলে তার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন অমিত শাহ। একসঙ্গে দুই দায়িত্ব সামলানো সম্ভব নয় বলে গত বছর জুন মাসেই তিনি নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে বিষয়টি জানান। অমিত শাহের ওই চিঠির পর থেকেই তার উত্তরসুরি হিসেবে দলের বর্ষীয়ান নেতা জেপি নাড্ডার নাম শোনা যাচ্ছিল। তবে নাড্ডা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপির সভাপতি হলেও দলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ অমিত শাহের হাতেই থাকবে বলে দাবি দেশটির সমালোচকদের। তবে বিজেপি সমালোচকদের ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। বেশ কঠিন সময়ে দলের দায়িত্ব নিলেন জেপি নাড্ডা। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ইসু্যতে ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে গেরুয়া শিবির এখন বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে। বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব ভারতের অনেক রাজনৈতিক দল। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছাত্র ও পেশাজীবী সংগঠন। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশ। এমন সময়ে সভাপতির দায়িত্ব জেপি নাড্ডার জন্য বেশ বড়সড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে।