উত্তাল ইরাকে ফের ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা বিক্ষোভ-সংঘর্ষে নিহত ৬

বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে তিন দফা রকেট হামলা

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বাগদাদে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ
কয়েক সপ্তাহের নিস্তব্দতার পর ফের সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠেছে ইরাক। সোমবার দেশটিতে নতুন করে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে, ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ-সংঘর্ষে ৪ আন্দোলনকারী এবং দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। এদিন ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ও অন্যান্য শহরগুলোতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ওই সংঘর্ষ হয়। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আল-জাজিরা এ ছাড়া বাগদাদ থেকে আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে। এদিকে সহিংস উপায়ে বিক্ষোভ দমন যেকোনও মূল্যে এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ইরাকে নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত। সম্প্রতি নতুন নির্বাচনি আইন নিয়ে গণভোট আয়োজন, একজন স্বাধীন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে এক সপ্তাহ সময় বেধে দেয় বিক্ষোভকারীরা। সোমবার ওই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে রোববার থেকেই বাগদাদসহ কয়েকটি শহরের রাস্তায় নেমে আসে ইরাকি তরুণরা। সড়ক ও সেতু বন্ধ করে দিয়ে তাদের বিক্ষোভ সোমবারও চলে। নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেছেন, বাগদাদের তায়ারান স্কয়ারে দুই বিক্ষোভকারী গুলিতে এবং একজন গ্যাস ক্যানিস্টারে আহত হয়ে পরে হাসপাতালে মারা গেছে। অন্য বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ হয়েছে শিয়া শহর কারবালায়। বিক্ষোভকারীদের ছুড়ে মারা পেট্রোল বোমা, পাথরের জবাবে পুলিশ টিয়ারগ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। অন্যদিকে, ইরাকের বসরা শহরে বিক্ষোভ চলার সময় গাড়ির ধাক্কায় দুই পুলিশ নিহত হয়েছে। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষ এড়াতে চালক দ্রম্নত গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে তিন দফা রকেট হামলা এদিকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে তিন দফা রকেট হামলা চালানো হয়েছে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাগদাদের গ্রিন জোনে এসব রকেট আঘাত হেনেছে। তবে ওই হামলার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। রকেট হামলার পরপরই ওই এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বাজতে শোনা গেছে। চলতি মাসে আরও কয়েকবার গ্রিন জোনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার জন্য ইরান সমর্থিত আধাসামরিক বাহিনীকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনো পক্ষই এখনো পর্ষন্ত এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি।