করোনাভাইরাস

নজরদারিতে ভারতের শতাধিক মানুষ

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চীনের উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরাসের লাগাম টেনে ধরতে হিমশিম খাচ্ছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। এরই মধ্যে ভাইরাসটি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে, করোনাভাইরাসের আক্রান্ত সন্দেহে ভারতের কেরালা ও মহারাষ্ট্রে শতাধিক মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন রোববার এ কথা জানিয়েছেন। সংবাদসূত্র : ইনডিয়া টুডে, এনডিটিভি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেন, 'এখনো করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার নিশ্চিত কোনো ঘটনা শনাক্ত হয়নি। সাত যাত্রীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পুনের একটি গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে চার যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।' কেরালার জ্যেষ্ঠ এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, 'রোববার রাজ্যে নতুন ৯৯ যাত্রী এসেছেন। সব মিলে মোট ১৭৯ যাত্রী নজরদারিতে আছেন। মাত্র সাত জনের শরীরেই কোনো লক্ষণ পাওয়া গেছে। তাদের রক্ত ও শ্বাস-প্রশ্বাসযন্ত্রের নমুনা পরীক্ষার জন্য পুনের 'ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিতে' পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে ত্রিশুর, তিরুবন্তপুরম, পাঠানমথিত্ত ও মালাপ্পুরমের একজন করে এবং এন্নাকুলস্নামের তিনজন করে রয়েছেন। তাদের সবাইকে রাজ্যের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আলাদাভাবে রাখা হয়েছে।' কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত সন্দেহে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি তিন জনের মধ্যে দুজনকে পরীক্ষা করে কোনো জীবাণু পাওয়া যায়নি। তবু সতর্কতার জন্য তাদের এখনো পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আর তৃতীয় ব্যাক্তির রক্ত পরীক্ষার ফলের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। চীনে নতুন করে ছড়িয়ে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের মধ্যে শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়। এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও প্রাণহানি দুটোই হুহু করে বাড়ছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের অধিকাংশই চীনা নাগরিক। প্রাদুর্ভাবের কারণে এক কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার উহান শহরে জরুরি যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নতুন চান্দ্রবর্ষ উদযাপন সামনে রেখে ঘরমুখী মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার থেকে চীন ১০টি শহরে গণপরিবহন ও সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর মন্দির বন্ধ করে দিয়েছে। পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য 'নিষিদ্ধ শহর' ও মহাপ্রাচীরের একটি অংশও বন্ধ রাখা হয়েছে।