মাকির্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও
পাকিস্তানের নবনিবাির্চত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করতে ইসলামাবাদ সফর করবেন মাকির্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পাকিস্তানের ক‚টনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বাথর্-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকটি হলে পম্পেও হবেন নবনিবাির্চত পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককারী প্রথম কোনো বিদেশি প্রতিনিধি। সংবাদসূত্র : ডন, ট্রিবিউন
ক‚টনৈতিক সূত্র জানায়, পাকিস্তানি কমর্কতাের্দর সঙ্গে আলোচনার সময় পম্পেও দুটি বড় ইস্যুর ওপর প্রাধান্য দিতে পারেন। সেগুলো হলো দুই রাষ্ট্রের মধ্যে এক সময়কার ঘনিষ্ঠ সম্পকের্ক পুনজার্গরিত করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগান শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু করতে পাকিস্তানের সমথর্ন আদায় করা। আর আন্তজাির্তক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ১২০০ কোটি ডলারের অথৈর্নতিক প্যাকেজ পাওয়ার প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সমথর্ন চাইতে পারে পাকিস্তান।
জানা গেছে, পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘ব্যুরো ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ান অ্যাফেয়াসর্’র প্রধান অ্যালিস ওয়েলসও পম্পেওর সফরসঙ্গী হতে পারেন। পম্পেও ও তার প্রতিনিধিদল পাকিস্তানের পাশাপাশি ভারত ও আফগানিস্তানও সফর করতে পারে। নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মধ্যবতীর্ কংগ্রেসনাল নিবার্চনের আগে আফগানিস্তানে একটি শান্তি চুক্তি চাইছে ওয়াশিংটন। এরই অংশ হিসেবে সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তান সফর করতে পারেন পম্পেও।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে মাকির্ন কমর্কতার্রা আফগান যুদ্ধ বন্ধে সহায়তা করার জন্য পাকিস্তানকে আহŸান জানান। বলা হয়, আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পরও তালেবানের কিছু অংশের সঙ্গে শান্তি আলোচনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র নিরুৎসাহী হয়নি। ওয়েলস তখন পাকিস্তানকে স্মরণ করিয়ে দেন, আফগানিস্তানে ১৭ বছরের যুদ্ধের শান্তিপূণর্ সমাধানের এখনই সময়। এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বস্থানীয় ভ‚মিকা পালনের জন্য ইসলামাবাদকে আহŸান জানানো হয়। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস, শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার জন্য আফগান তালেবানকে রাজি করানোর যথেষ্ট ক্ষমতা পাকিস্তানের আছে।
সাম্প্রতিক বিবৃতিগুলোতেও দেখা গেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো সম্পকর্ পুনজার্গরিত করার আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেছেন মাকির্ন কমর্কতার্রা। গত শনিবার মাকির্ন পররাষ্ট্র দপ্তর নবনিবাির্চত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছে। এর আগে দেয়া এক বিবৃতিতে মাকির্ন কমর্কতার্রা আশা প্রকাশ করেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র আর তাদের মিত্ররা দীঘির্দন ধরেই ধারাবাহিক অভিযোগ করে আসছে, আফগান তালেবান ও তাদের মিত্র হাক্কানি নেটওয়াকের্ক নিরাপদ স্বগর্ গড়ে তুলতে দিয়েছে পাকিস্তান। আর সন্ত্রাসীরা তা ব্যবহার করে সীমান্ত অতিক্রম করে আফগানিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। পাকিস্তান বরাবর সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ অস্বীকার করে এলেও মাকির্ন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা কঠোর করেছেন। এর শেষ ফল হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ এনে পাকিস্তানে নিরাপত্তা সহযোগিতা স্থগিতের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
