করোনাভাইরাস আতঙ্ক

অবশেষে বন্দর পেল প্রমোদতরীটি

আশ্রয় দেওয়ায় কম্বোডিয়ার ভূয়সী প্রশংসা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের জাপানে জাহাজবন্দি ৩৭০০ জন ১০ দিন ধরে

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রমোদতরী 'এমএস ওয়েস্টারডাম'
দুই হাজারের বেশি যাত্রীসহ 'দি ওডিসি অব দ্য এমএস ওয়েস্টারডাম' প্রমোদতরীকে অবশেষে কম্বোডিয়ার বন্দরে নোঙর করতে দেওয়া হয়েছে। জাহাজটি দিনের পর দিন সাগরে ভাসছিল। 'কভিড-১৯' করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় থাইল্যান্ড, জাপান, তাইওয়ান, গুয়াম ও ফিলিপাইনের কোনো বন্দরই জাহাজটিকে ভিড়তে দিচ্ছিল না। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, বিবিসি ওয়েস্টারডামের এক হাজার ৪৫৫ যাত্রী এবং ৮০২ জন ক্রুর কেউই সংক্রমিত হননি। তবুও বুধবার প্রমোদতরীটি ব্যাংককের বন্দরে ভিড়তে গেলেও সেটিকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এটিকে সরিয়ে নিয়ে যায় এবং থাই উপসাগরে দিয়ে আসে। পরে জাহাজটি দিক বদল করে কম্বোডিয়ার দিকে যাত্রা করে। বৃহস্পতিবার সকালে জাহাজটি কম্বোডিয়ার সিহানুকভিল বন্দরে নোঙর করে। জাহাজের যাত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অ্যাঞ্জেলা জোনস বলেন, 'আমরা কতবার ভেবেছি, এই বুঝি বাড়ি যেতে পারবো, আর সেইসব মুহূর্তেই আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, 'আজকের সকালে যখন ডাঙার দেখা পেলাম, সেটা ছিল একটি শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্ত।' জাহাজের ক্যাপ্টেন ভিনসেন্ট স্মিট বলেন, 'জাহাজটিকে সিহানুকভিলের বাইরে নোঙর করা হয়েছে, যাতে কর্তৃপক্ষ আগে জাহাজটির যাত্রী ও ক্রুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারে। এরপরই রাজধানী নমপেন হয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবেন যাত্রীরা।' কম্বোডিয়ার মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, তারা জাহাজের মার্কিন নাগরিকদের সাহায্য করতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। জাহাজটিকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য কম্বোডিয়ার প্রশংসা করেছেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাডহ্যানম গেব্রেইসুস। জাপানে জাহাজবন্দি ৩৭০০ যাত্রী ১০ দিন ধরে এদিকে, তীরে এসেও পাড়ে নামার সুযোগ জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরের কাছে আটকে থাকা প্রমোদতরী 'ডায়মন্ড প্রিন্সেস'। এটির কারণও করোনাভাইস আতঙ্ক। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জাহাজে থাকা ২১৮ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রম্নয়ারির আগে সেখান থেকে যাত্রীদের মুক্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, প্রমোদতরীটির ক্রুদের দিন কাটছে উদ্বেগ আর আতঙ্কে। ওই জাহাজে থাকা এক ক্রু সদস্য জানিয়েছেন, সেখানে থাকা ক্রু সদস্যরা সবচেয়ে বেশি শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। \হকারণ সেখানকার যাত্রীদের যেভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে তাদের সেভাবে রাখা হচ্ছে না। ওই প্রমোদতরীর যাত্রীদের নিজেদের কেবিনেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ক্রুদের সব জায়গায় চলাফেরা করতে হচ্ছে। ফলে তারা সহজেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে ভয় এবং আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।