সিরিয়ায় তুরস্ক-রাশিয়া দ্বন্দ্বে বাশারের মুখে চওড়া হাসি

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ
সিরিয়ায় প্রভাব বিস্তার করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মধ্যে রেষারেষি যতই বাড়ছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের ক্ষমতা ও মুখের হাসি ততই চওড়া হচ্ছে। রোববার বাশার বাহিনী উত্তর-পশ্চিমে আলেপ্পো প্রদেশের আরও এলাকার নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। ওই এলাকায় তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে বিদ্রোহীদের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতদিন এই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার ফলে বাশার বাহিনী কিছুটা কোণঠাসা হয়ে ছিল। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, ডয়চে ভেলে ন্যাটোর সদস্য দেশ হওয়া সত্ত্বেও সিরিয়ায় নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা করতে তুরস্ক যাবতীয় সমালোচনা উপেক্ষা করে ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়ে্যপ এরদোয়ানের জন্য সেই সহযোগিতা শেষ পর্যন্ত সুখকর হয়নি। রাশিয়ার সঙ্গে স্বার্থের সংঘাতের কারণে মনোমালিন্য বাড়ছে। সংকট কাটাতে দুই দেশের মধ্যে সোমবার মস্কোয় আলোচনা হবার কথা। তুরস্ক বাশারকে অপসারণ করতে বদ্ধপরিকর। বাশার কিন্তু গত প্রায় ৯ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ সত্ত্বেও ক্ষমতায় টিকে গেছেন। রাশিয়ার মদদে তার প্রশাসন ও সামরিক বাহিনী শক্তি আরও বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে বাশার বাহিনীর হামলায় ১৩ জন তুর্কি সেনা নিহত হয়েছে। ফলে মস্কোর উদ্দেশে তুরস্ক বাশারে রাশ টানার আহ্বান জানিয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে সিরীয় বাহিনী ওই এলাকা থেকে প্রত্যাহার না করলে তুরস্ক পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছে। রাশিয়া তুরস্কের ডাকে এখনো সাড়া দেয়নি। রোববার রুশ বিমানবাহিনী আলেপ্পো প্রদেশে বিরোধী নিয়ন্ত্রিত এলাকার ওপর বোমাবর্ষণ করেছে। বাশার বাহিনী সেই সুযোগে জায়গা দখল করেছে। ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীও সেই কাজে মদদ দিয়েছে। 'সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস' সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, বাশার বাহিনী মাত্র এক দিনে আলেপ্পোয় যে সাফল্য পেয়েছে, গত আট বছরে তা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, তুরস্ক সমর্থিত বিদ্রোহীরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনার সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রও তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা করছে। রোববার হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার টেলিফোনে এরদোয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন। সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে সহিংসতা সম্পর্কে তিনি দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন এবং মানবিক বিপর্যয় এড়াতে তুরস্কের ভূমিকার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বাশারের প্রতি রাশিয়ার সমর্থনের সমাপ্তি ও গোটা সংকটের রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের আশা করেছেন ট্রাম্প।