পাওনা ৫০ হাজার কোটি রুপি দাবি মমতার

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদি
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাদের পাওনা ৪৯ হাজার ৬১৯ কোটি রুপি দাবি করেছে। তাদের ভাষায় বারবার বলেও অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে সেই পাওনা অর্থ চেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সময়মতো পাওনা অর্থ না পাওয়ায় রাজ্য চালাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে চার পাতার চিঠিতে জানিয়েছেন মমতা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোদিকে তিনি লিখেছেন, 'প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি। প্রাপ্য টাকা পেলে রাজ্যে আরও উন্নয়ন করব।' সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে কলকাতা বন্দরের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মোদি। রাজ্যের দাবি-দাওয়া নিয়ে সেদিন রাজভবনে গিয়ে মোদির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেছিলেন মমতা। মোদি তাকে দিলিস্ন গিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সে কথা মুখ্যমন্ত্রীই তখন সাংবাদিকদের জানান। এরপর রাজ্যের বাজেট হয়ে গেছে। ২০১৯-২০ আর্থিক হিসাব দেখে মোদিকে চিঠি লেখেন মমতা। মোদির কাছে 'ন্যায্য' দাবি জানিয়ে রাজ্যের পাওনা টাকা চেয়েছেন মমতা। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের বাজেটে উলিস্নখিত কেন্দ্রীয় করের অংশ হিসেবে প্রাপ্য ১১ হাজার ২১২ কোটি রুপি রুপি। কেন্দ্রীয় অনুদান বাবদ পাওনা ৩৬ হাজার কোটি। জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যের ভাঁড়ারে দুই হাজার ৪০৬ কোটি রুপি আসার কথা। কেন্দ্রীয় প্রাপ্য করের অর্থ প্রতি মাসের প্রথম দিনের বদলে ২০ তারিখে পাওয়ায় কোষাগারের নগদে টান পড়ছে বলেও চিঠিতে উলেস্নখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় অনুদানের অর্থ দ্রম্নত বরাদ্দ করার জন্য লিখেছেন মমতা। জিএসটি ক্ষতিপূরণের অক্টোবর-নভেম্বরের পাওনা অর্থ কেন্দ্র দিয়েছে ফেব্রম্নয়ারিতে। এই খাতেও রাজ্যের প্রাপ্য দুই হাজার ৪০০ কোটি রুপি। অর্থ কর্মকর্তাদের অনেকে অবশ্য জানাচ্ছেন, কেন্দ্রীয় করের ৪২ শতাংশ রাজ্যের পাওয়ার কথা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কর আদায় কম হওয়ায় রাজ্যের ভাগে অর্থও জুটেছে কম। কেন্দ্রীয় অনুদান বাবদ যে ৩৬ হাজার কোটি রুপি রাজ্যের পাওনা বলে দাবি করা হয়েছে, তার মধ্যে ২৩ হাজার কোটি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ক্ষতিপূরণ বাবদ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের প্রশ্নে কেন্দ্রের সঙ্গে মতপার্থক্য থাকায় সেই অর্থ পাওয়ার আশা কম। তবে জিএসটি ক্ষতিপূরণের দাবি ন্যায্য, দিলিস্ন তা দিতেও বাধ্য বলে মনে করছেন অর্থ-কর্মকর্তারা।