মোদির সঙ্গে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলবেন ট্রাম্প

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামীকাল সোমবার দুই দিনের ভারত সফরে গিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলবেন। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত শ্রদ্ধা রয়েছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, পিটিআই হোয়াইট হাউসে এক 'কনফারেন্স কলে' যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে প্রকাশ্যে এবং একান্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই বিষয়গুলো তিনি তুলে ধরবেন, বিশেষ করে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি; যা এই প্রশাসনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আলোচনার পরিকল্পনা আছে কিনা; এমন এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা। প্রথমবারের মতো ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্বের বিধান রেখে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তৈরি করা হয়েছে। দেশটির সরকার বলছে, ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ২০১৫ সালের আগে প্রতিবেশী মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ থেকে পালিয়ে আসা অমুসলমানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে সহায়তা করবে এই আইন। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, মুসলমানদের প্রতি বৈষম্য এবং ভারতীয় সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ মূলনীতির লঙ্ঘন করেছে এই আইন। হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা বলেন, 'আইনের শাসন বজায় রাখতে দুই দেশের সর্বজনীন মূল্যবোধ রয়েছে। ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধাবোধ আছে। এসব ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার জন্য আমরা ভারতকে উৎসাহিত করবো।' সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আপনারা যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন, সে সবের কিছু বিষয়ে আমরা এরই মধ্যে অবগত। আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আমাদের প্রেসিডেন্ট কথা বলবেন। ভারত যেন গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখে, বিশ্ব সেটি চায়।' তিনি বলেন, 'অবশ্যই ধর্মীয় স্বাধীনতা, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সব ধর্মের প্রতি সমান আচরণের কথা ভারতীয় সংবিধানে বলা আছে। যে কারণে এটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত, এসব বিষয় তাদের আলোচনায় আসবে।'