'সেনা নামানো হতে পারে'

থামেনি দিলিস্নর সহিংসতা, নিহত বেড়ে ১০

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষের পরদিন মঙ্গলবারও দেশটির রাজধানী দিলিস্নতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ ব্যাপক সহিংসতা অব্যাহত ছিল। সোমবারের নজিরবিহীন ওই সহিংসতায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০০ জন। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার দিলিস্নতে উপস্থিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তর-পূর্ব দিলিস্নতে এই সহিংসতা শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার দিনটি বিভিন্ন বৈঠক ও আলোচনায় দিলিস্নতেই পার করেন ট্রাম্প। শহরটিতে তার উপস্থিতি সত্ত্বেও সহিংসতা থামেনি। এদিন সকালে উত্তর-পূর্ব দিলিস্নর মৌজপুরসহ কয়েকটি এলাকায় সিএএ সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের পালটাপালটি ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। মৌজপুরে একটি ইজিবাইক ভাঙচুর করে যাত্রীদের মূল্যবান জিনিপত্র লুট করে হামলাকারীরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু জরুরি কল আসার কথা জানিয়েছে দিলিস্নর ফায়ার সার্ভিস। এমন একটি কলে সাড়া দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে তারা। হামলাকারীরা ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িও পুড়িয়ে দেয় ও আরেকটি গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। এতে তিন দমকল কর্মী আহত হন। এক বিবৃতিতে দিলিস্ন পুলিশ পরিস্থিতিকে 'অত্যন্ত উত্তেজনাকর' বলে বর্ণনা করেছে। উত্তর-পূর্ব দিলিস্নর বিভিন্ন এলাকা থেকে সহিংসতার কথা জানিয়ে একের পর এক ফোন আসছে বলে বিবৃতিতে উলেস্নখ করেছেন তারা। এর আগে গভীর রাতে গোকুলপুরি এলাকায় একদল জনতা একটি টায়ার মার্কেটে আগুন লাগিয়ে দেয়, এতে মার্কেটটি ভস্মীভূত হয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। উত্তর-পূর্ব দিলিস্নর সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিলিস্ন সরকার। হতাহতের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে দিলিস্নর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল চলমান সহিংসতাকে 'অত্যন্ত পীড়াদায়ক' বলে বর্ণনা করেছেন। এদিকে, দিলিস্নতে চলমান সহিংসতা রুখতে এদিন অমিত শাহের সঙ্গে এক দফা বৈঠক হয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। সেখান থেকে বেরিয়েই দিলিস্নর মুখ্যমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, 'প্রয়োজনে সেনা নামানো হতে পারে'।