করোনার সংক্রমণ

মধ্যপ্রাচ্যে বিমান চলাচলে ভয়াবহ বিপর্যয়

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিমান চলাচলে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। চীন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে মহামারির বিস্তার ও সংক্রমণ ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। বৈশ্বিক বিমান চলাচলের 'হাব' হিসেবে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাত তেহরান ছাড়া ইরানের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে। এসব কারণে মধ্যপ্রাচ্যের বিমান চলাচলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং শারজাহ বিমানবন্দরে চলাচলকারী সব ফ্লাইট পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাতিল করেছে বাহরাইন। এদিকে, ওমান জর্ডান, কুয়েত, ইরাক ও সৌদি আরব এরই মধ্যে ইরানের সঙ্গে সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। এছাড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্ক আর এর বিস্তার ঠেকাতে গোটা বিশ্বের বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলো তাদের ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা ইরানে চলাচলকারী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে, শুধু দেশটির রাজধানী তেহরান ছাড়া। তবে দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তেহরান থেকে আসা সব যাত্রীর স্ক্রিনিংসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যপরীক্ষা করছে। এছাড়া যাত্রীরা তাদের ফ্লাইট পুনরায় বুক করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বাহরাইন সরকার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দুবাই থেকে চলাচলকারী সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করেছে। সোমবার ইরাক, আফগানিস্তান, কুয়েত, ওমান এবং বাহরাইনে প্রথমবারের মতো করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের সবাই সম্প্রতি ইরান ভ্রমণ করেছেন। একইদিনে ইরানের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ইরান সরকার আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশজুড়ে কনসার্ট, ফুটবল ম্যাচ বাতিল করা ছাড়াও বেশে কয়েকটি প্রদেশে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। বিশ্বের বিমান চলাচল শিল্প নিয়ন্ত্রক সংস্থা 'দি ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন' (আইএটিএ) গত শুক্রবার সতর্ক করে দিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর ২৯ দশমিক তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার মুনাফা হারাবে বিমান সংস্থাগুলো। সংস্থাটি বলছে, গত একযুগে বিমান পরিবহণ খাত কখনো এতটা সংকটে পড়েনি।