মার্কিন নির্বাচন

হারজিতের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে ডেমোক্রেটিক প্রার্থীরা

প্রকাশ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নির্বাচনী বিতর্কে ডেমোক্রেট মনোনয়নপ্রত্যাশীরা
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী বাছাই পর্ব এবার গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে প্রবেশ করছে। সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের মধ্যে কেউ এখনো হাল ছাড়েননি। আগামী মঙ্গলবার 'সুপার টুয়েসডে'র দিনে হারজিতের হিসাবের পর একাধিক প্রার্থী দৌড় থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। মোট ১৪টি রাজ্যে প্রাইমারি পর্বের পর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থীর নাম উঠে আসবে। সংবাদসূত্র : ডয়চে ভেলে, এপি, রয়টার্স আপাতত ডেমোক্রেটিক প্রার্থীরা টেক্সাস রাজ্যে দলীয় ভোটারদের মন জয় করতে ব্যস্ত। নির্বাচনে অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্স সেখানে জনসভা করছেন। মাইকেল বস্নুমবার্গ শুধু হিউস্টন শহরের আশাপাশের এলাকার জন্য বিজ্ঞাপনের পেছনে এক কোটি ডলারের বেশি ব্যয় করেছেন। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও আরেক প্রার্থী এলিজাবেথ ওয়ারেনও প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পিট বুটিজিজ একের পর এক শহরে জনসভা করছেন। বড় ও জনবহুল রাজ্য হিসেবে তাদের সবার কাছে টেক্সাসের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সেখানে প্রতিযোগিতার জন্য অর্থবল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করছেন। প্রার্থী হিসেবে এই মুহূর্তে বিশেষভাবে নজর কাড়ছেন বার্নি স্যান্ডার্স। একাধিক রাজ্যে বিপুল সাফল্য সত্ত্বেও সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার জন্য তিনি বাকি প্রার্থীদের আক্রমণের মুখে পড়ছেন। সম্প্রতি কিউবার প্রয়াত নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর প্রশংসা করে আরও বিভাজন সৃষ্টি করেছেন তিনি। এমন বিভাজনের ফলে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে (হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস) সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা কঠিন হবে বলে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করছে ডেমোক্রেটিক পার্টির একাংশ। তবে বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে দলের পক্ষে তাকে উপেক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে না। বার্নি স্যান্ডার্স নিজে সেই হাতিয়ার তুলে ধরে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে বিপুলসংখ্যক ডেমোক্রেটিক ভোটারকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তার দাবি, বাইডেনের তুলনায় তিনিই নাকি সেই কাজ আরও ভালোভাবে করতে পারবেন। গত মঙ্গলবার সাউথ ক্যারোলিনায় অনুষ্ঠিত বিতর্কে দলটির বাকি মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বলেছেন, স্যান্ডার্স মনোনয়ন পেলে তা হবে ডেমোক্রেটিক পার্টির জন্য বিপর্যয়কর। তবে অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আক্রমণের মুখেও স্যান্ডার্সকে অবিচল থাকতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যসেবাকে মানবাধিকার হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। উত্থাপন করেছেন অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচারের মতো ইসু্যগুলোকে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে 'প্রতিক্রিয়াশীল বর্ণবাদী' হিসেবে উলেস্নখ করেছেন। বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ববাদী শাসকদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের দৌড়ে টিকে থাকার শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন জো বাইডেন। দক্ষিণ ক্যারোলিনা রাজ্যের প্রভাবশালী কৃষ্ণাঙ্গ এমপি জেমস ক্লাইবার্ন প্রকাশ্যে সমর্থন জানানোয় সেই রাজ্যে জয়ের আশা করছেন বাইডেন। তার প্রচার অভিযান 'সুপার টুয়েসডে' উপলক্ষে বিজ্ঞাপনের জন্য বিশাল অঙ্ক ব্যয় করছে। এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ডেমোক্রেটিক প্রার্থীদের কড়া সমালোচনা করছেন। তার মতে, সম্প্রতি পুঁজিবাজারের যে ধস নেমেছে, তার জন্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থীদের বেফাঁস মন্তব্যই দায়ী। করোনাভাইরাসের পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্যও আর্থিক বাজারের ওপর প্রভাব ফেলছে বলে তিনি দাবি করেছেন। আগামী নির্বাচনে নিজের জয় সম্পর্কে ট্রাম্প অবশ্য নিশ্চিত।