মৃতু্যর ভয়াল গতি স্পেনে

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ইউরোপে ইতালির পর স্পেনই করোনা সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোববারও সংক্রমণ এবং মৃতু্যর ভয়াল গতি থামার লক্ষণ দেখা যায়নি। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৭৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃতের সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। শনিবার ছিল দেশটিতে ভয়াবহ একটি দিন। এদিন এক রাতেই ৮৩৮ জন মারা গেছে। সংবাদসূত্র : ডয়চে ভেলে, ডিপিএ, রয়টার্স, এপি এমন মারাত্মক পরিস্থিতি সত্ত্বেও স্পেনের প্রশাসনের স্বাস্থ্য খাতে জরুরি অবস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফার্নান্দো সিমন কিছুটা আশার আলো দেখছেন। তিনি বলেন, সংক্রমণ বৃদ্ধির ১৪ শতাংশ হার সাম্প্রতিক দিনগুলোর তুলনায় সবচেয়ে কম। স্পেন মহামারির উচ্চতম মাত্রা ছুঁতে চললেও তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সংক্রমণ ও মৃতু্যর হার কমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতির দ্রম্নত উন্নতি হবে। করোনায় আক্রান্ত যেসব মানুষ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের সংখ্যাও বাড়ছে। রোববার পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার মানুষের সুস্থ হয়ে ওঠার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী মাদ্রিদ ও আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞদের দুশ্চিন্তা দূর করতে পারছে না। সেখানকার হাসপাতালগুলো রোগীদের ঠিকমতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারছে না। প্রায় দেড় হাজার মানুষ গুরুতর অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছে। একটি বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণে পাঁচ হাজার শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তুলেও চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। স্পেনে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণও বর্তমান সংকটকে আরও কঠিন করে তুলছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাব অনুযায়ী, কোভিড-১৯-এ সাড়ে ৯ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এমন অবস্থা দেখা যায়নি। ফলে স্পেনে রোগীদের সেবার কাজ কঠিন হয়ে উঠেছে। অনেক স্বাস্থ্যকর্মী বারবার জানিয়েছেন, তাদের হাতে সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে মাস্ক, গস্নাভস বা গাউনের মতো নূ্যনতম সরঞ্জাম নেই। এরপরও পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অ্যামনেস্টি কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। গত শুক্রবার স্পেনের পার্লামেন্ট সরকার দেশটিতে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও দুই সপ্তাহের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উলেস্নখ্য, গত ১৫ মার্চ থেকে গোটা দেশে কড়া হাতে 'লকডাউন' কার্যকর করা হয়েছে। স্পেনের মন্ত্রিসভা শুক্রবার কর্মী ছাঁটাই বন্ধ করতেও পদক্ষেপ নিয়েছে। শ্রমমন্ত্রী ইয়োলান্দা দিয়াস বলেন, এমন স্বাস্থ্য সংকটের ফায়দা তুলে কেউ দেশে কর্মী ছাঁটাই করতে পারবে না।