স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য

চীনে বেশির ভাগই করোনামুক্ত

ব্যবস্থা নিলে ছড়াত না এই ভাইরাস :অভিযোগ প্রথম রোগীর

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চীনের হুবেই প্রদেশ এবং এর রাজধানী উহান শহরে গত রোববার পর্যন্ত নতুন কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হননি। সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য কমিশন এ কথা জানিয়েছে। কমিশন বলেছে, গত চার দিন ধরে গোটা দেশে সংক্রমণের সংখ্যাও আনুপাতিকভাবে কমে আসছে। সুস্থ হয়ে উঠেছে আক্রান্ত হওয়া বেশির ভাগ মানুষ। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, ইনডিয়ান এক্সপ্রেস দেশটির স্বাস্থ্য কমিশনের এক কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর হওয়ার পর চীনের মূল ভূখন্ডে ৮১ হাজার ৪৭০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৫ হাজার ৭৭০ জন। সেই হিসাবে চীনে আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৯৩ শতাংশ। গত বছর ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকেই করোনার সংক্রমণ শুরু হয়। চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কঠোর লকডাউন এবং হাজার হাজার চিকিৎসকের চেষ্টায় কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উহানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নেমে এসেছে। সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হলে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে শহরটিতে পুনরায় ভ্রমণ করা যাবে বলে আশা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এদিকে, রোববার পর্যন্ত নতুন করে ৩১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে চারজন। আক্রান্তদের বেশির ভাগই বিদেশফেরত, না হলে কোনো না কোনোভাবে এদের সংস্পর্শে আক্রান্ত হয়েছে। চীনের বেইজিংয়ে ৭২৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সপ্তাহের শুরুতে বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে নিষাধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 'চীন ব্যবস্থা নিলে ছড়াত না করোনাভাইরাস' চীনের ছোট্ট শহর উহান। আর সেই শহরের নাম শুনলেই এখনো কেঁপে উঠছে গোটা বিশ্ব। সেখান থেকেই সূত্রপাত মারণ ভাইরাস কোভিড-১৯-এর। কী থেকে ছড়াল অসুখ? কোথা থেকে এলো ভাইরাস? খুব একটা স্পষ্ট জবাব নেই কারও কাছে। তবে যিনি প্রথম এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তিনি এখন সুস্থ। তার দাবি, চীন যদি সাবধান হতো, কড়া ব্যবস্থা নিতো, তাহলে করোনাভাইরাস এভাবে বিশ্ব মহামারির আকার ধারণ করতে পারত না। করোনায় প্রথম আক্রান্ত হন ৫৭ বছরের নারী ওয়েই গুইজিয়ান। সেটা গত বছরের ডিসেম্বর মাস। পেশায় চিংড়ি মাছ বিক্রেতা ছিলেন তিনি। ১০ ডিসেম্বর তার কাশি শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, সাধারণ জ্বর। স্থানীয় এক ক্লিনিকে যেতেই তাকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু দিনের পর দিন ক্রমশ দুর্বল হতে থাকেন গুইজিয়ান। দিন দুয়েক পরই উহানের ইলেভন্থ হাসপাতালে যান। সেখানেও ধরা পড়েনি এই মারণ ভাইরাস। ১৬ ডিসেম্বর ওই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় উহান ইউনিয়ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান গুইজিয়ান। আর সেই হাসপাতালেই তাকে বলা হয়, শরীরে কঠিন রোগ বাসা বাঁধছে। এরপরই ওই হাসপাতালে বাড়তে থাকে রোগীর ভিড়, যাদের সবার শরীরেই একই ধরনের উপসর্গ। গুইজিয়ানের দেখাদেখি ওই হাসপাতালে ছোটেন হুনান মার্কেটের আরও অনেক মানুষ। এমনকি অনেক ক্রেতাও আক্রান্ত হয়ে পড়েন ওই রোগে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে ওয়েই গুইজিয়ানকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তার শরীরে মেলে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি।