ভারতে নেই পর্যাপ্ত পিপিই

হেলমেট-রেইনকোট নিয়েই লড়ছেন চিকিৎসকরা

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ছেঁড়া রেইনকোট পরেই চিকিৎসা
ভারতে পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর (পিপিই) অভাবে দেশটির অনেক চিকিৎসক রেইনকোট এবং মোটরবাইকের হেলেমেট পরেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। ভারতে করোনার সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগেই চিকিৎসকদের এই সুরক্ষা সামগ্রীর ঘাটতি দেশটির দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চিত্রই তুলে ধরেছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, পিটিআই এদিকে, সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, 'ঘাটতি পূরণের জন্য ভারত স্থানীয়ভাবে এবং চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) সংগ্রহের চেষ্টা করছে।' দেশটিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন অন্তত এক হাজার ২৫১ এবং মারা গেছেন ৩২ জনের বেশি। করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন, এমন এক ডজনের বেশি চিকিৎসক বলেন, পর্যাপ্ত মুখোশ এবং পিপিই ছাড়া চিকিৎসা দেয়ায় তারা উদ্বিগ্ন। এমনকি এই ভাইরাসের বাহকও হতে পারেন তারা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী মে মাসের মাঝের দিকে দেশটিতে এক লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। এর ফলে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং চিকিৎসকদের ওপর মারাত্মক চাপ তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। গত সপ্তাহে দেশটির পশ্চিমবঙ্গের বেলেঘাটা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা পস্ন্যাস্টিকের রেইনকোট পরে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। সেখানকার একজন চিকিৎসক বলেন, 'আমরা আমাদের জীবনের বিনিময়ে কাজ করব না।' কর্তৃপক্ষ প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে, এমন আশঙ্কায় নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, রাজধানী দিলিস্নর উত্তরাঞ্চলের হরিয়ানা প্রদেশের ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসক সন্দ্বীপ গর্গ বলেন, এন-৯৫ মাস্ক না থাকায় তিনি মোটরবাইকের হেলমেট পরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি একটি হেলমেট পরেছিলাম। এর সামনে একটি মুখাবরণ রয়েছে; যা আমার মুখ ঢেকে রাখে। এর পাশাপাশি তিনি সার্জিক্যাল মাস্কও ব্যবহার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা এখন শুধুমাত্র প্রার্থনা করে বেঁচে আছি। এটা এমন নয় যে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে আমরা বাঁচতে পারব।'