করোনার থাবায় আক্রান্ত ও মৃতু্য বাড়ছে ভারতেও

মৃতু্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ আক্রান্ত ১ হাজার ৬৩৭ ভারতে ৯৩ বছর বয়সির কাছে করোনার হার

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মৃতু্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ আক্রান্ত ১ হাজার ৬৩৭ ভারতে ৯৩ বছর বয়সির কাছে করোনার হার
সারা বিশ্বেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। লম্বা হচ্ছে লাশের সারি। এশিয়ার দেশ ভারতেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজারের দিকে এগোচ্ছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৬৩৭ জন। মৃতু্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ জনে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, আক্রান্তদের মধ্যে এক হাজার ৩৪৮ জন ভারতীয় নাগরিক। বাকি ৪৯ জন বিদেশের। এরইমধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২৪ জন। কয়েকজন সুস্থ হয়ে হাসপাতালও ছেড়েছেন। মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুতে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। মহারাষ্ট্রে ২৪ ও তামিলনাড়ুতে ৫৭ জন করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছে। করোনা আক্রান্তে মহারাষ্ট্র এখনো ভারতের শীর্ষে। মঙ্গলবার সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত ৩০২ জন। ভারতে ৯৩ বছর বয়সির কাছে করোনার হার এদিকে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেরালার ৯৩ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় চিকিৎসকরা। মাসখানেক আগে তিনি ও তার ৮৮ বছর বয়সী স্ত্রী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। দুইজনই সেরে উঠেছেন, তাদের কয়েকদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কেরালার এই দম্পতি তাদের ইতালিফেরত মেয়ে ও মেয়েজামাইয়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বিমানবন্দরের স্ক্রিনিং এড়িয়ে বাড়ি ফেরা এই দুই প্রবাসী সে সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরেও স্থান করে নিয়েছিলেন। কর্মকর্তারা পরে ইতালিফেরত স্বামী-স্ত্রীর খোঁজ বের করতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে ওই দুইজন তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও কোভিড-১৯ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। বয়সজনিত নানান সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কেরালার বৃদ্ধ দম্পতির সেরে ওঠার ঘটনায় দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন; করোনাভাইরাসকে পরাজিত করার এ ঘটনা দেশটির বিভিন্ন দৈনিকেও জায়গা করে নিয়েছে। ৯৩ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসজনিত শারীরিক জটিলতাও ছিল। বিশ্বের অন্যান্য স্থানে এ ধরনের সমস্যায় থাকা ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ এ মৃতু্যহার অনেক বেশি। প্রথম দিকে কেরালার এই বৃদ্ধের অবস্থাও বেশ খারাপ হয়ে পড়েছিল। তাকে ২৪ ঘণ্টা ভেন্টিলেটর দিতে হয়েছিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এরপরই তার নাটকীয় উন্নতি ঘটতে থাকে। এক ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত বন্ধ দিলিস্নর হাসপাতাল অন্যদিকে, ভারতের দিলিস্ন স্টেট ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের একজন ডাক্তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, এরপর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দিলিস্ন সরকারের এক মুখপাত্র জানায়, ওই হাসপাতাল ভবনের ওপিডি, অফিস এবং ল্যাবগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন সব জায়গা বিশেষভাবে স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। এরইমধ্যে যারা ওই করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাদেরও অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হচ্ছে।