সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাজারে করোনার ওষুধ আনছে ফুজি যাযাদি ডেস্ক করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় একটি ওষুধের ব্যবহারে চূড়ান্ত পর্যায়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে জাপানি কোম্পানি ফুজিফিল্ম। দুটি পর্যায়ে সফলভাবে পরীক্ষা শেষে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পরীক্ষার অংশ হিসেব মানবদেহে এর প্রয়োগের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। মঙ্গলবার তারা এ ঘোষণা দিয়েছে। ওই ওষুধটির নাম অ্যাভিগান। ফুজিফিল্মের ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি টয়ামা কেমিক্যাল কোং লিমিটেড ওষুধটি তৈরি করেছে। দেহে ফ্লু ভাইরাস প্রতিরোধে জাপানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে অ্যাভিগান। অ্যাভিগানের জেনেটিক নেম ফ্যাভিপিরাভির। ফুজিফিল্ম বলছে, তারা আশা করছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধেও কার্যকরী প্রমাণিত হবে অ্যাভিগান। জাপানি কোম্পানিটি জানিয়েছে, অ্যাভিগান এক ধরনের অ্যান্টি-ভাইরার ড্রাগ। এ ধরনের ওষুধ মানবদেহে ভাইরাসের বংশবিস্তার রোধে দারুণ কার্যকর। এরা এক ধরনের এনজাইম খেয়ে ফেলে যা ভাইরাসের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। সে হিসাবে অ্যাভিগানও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছেন তারা। এর আগে ইবোলা ভাইরাস চিকিৎসায় অ্যাভিগানের জেনেটিক গোত্রীয় ফ্যাভিপিরাভিরের প্রয়োগ ঘটান গবেষকরা। ইঁদুরের ওপর এর পরীক্ষা চালিয়ে ফলও পেয়েছিলেন তারা। তবে মানবদেহে এর কার্যকারিতা ঠিক কেমন-তা এখনো প্রমাণিত নয়। তবে গবেষকদের দাবি, মানবদেহে অ্যাভিগানের প্রয়োগে অপেক্ষাকৃত ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। সংবাদসূত্র : ডেইলি মেইল টোকিওতে এক দিনেই আক্রান্ত ৭৮ যাযাদি ডেস্ক জাপানে মঙ্গলবার এক দিনেই নতুন করে দুই শতাধিক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজধানী টোকিওতেই এদিন নতুন করে ৭৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি জাপানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। মঙ্গলবার দেশটিতে এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক সংক্রমণ ধরা পড়ে। এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে কথা বলেছেন টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কোইকি। গভর্নর বলেন, এক দিনে এত বেশি রোগী শনাক্তের ঘটনা এটিই প্রথম। অবশ্যই এটা বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়। পরবর্তী দিনের চিত্রটা কেমন আসে তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। টোকিওতে জরুরি অবস্থা জারি করতেও প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন টোকিওর গভর্নর। তিনি বলেন, টোকিও সংক্রমণ বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। আমরা সেই পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি। সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর চেষ্টা করছি। এখন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে, জাপানে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ১৭৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭ জনের মৃতু্য হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪২৪ জন। সংবাদসূত্র : আল-জাজিরা