দিলিস্নর মসজিদের ঘটনায় ঝুঁকিতে বহু মানুষ

প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
তাবলিগের দিলিস্ন মার্কাজ মসজিদের ধর্মীয় জমায়েতে থাকা অন্তত সাত হাজার ৬০০ ভারতীয় ও এক হাজার ৩০০ বিদেশিকে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাবলিগের গত মাসের ওই জমায়েত ভারতজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে উঠেছে। ফলে ঝুঁকিতে পড়েছে বহু মানুষ। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তাবলিগ জামাতের আরও সদস্য শনাক্ত হলে সংখ্যাটি বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি দিলিস্নর পশ্চিম নিজামুদ্দিন এলাকায় তাবলিগ জামাতের ওই মার্কাজ বা কেন্দ্রকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার করোনাভাইরাসের 'হটস্পট' হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এরপর থেকে ভারতের ২৩টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত এলাকা ব্যাপক অনুসন্ধান শুরু করে সংগঠনটির এক হাজার ৩০৬ জন বিদেশি সদস্যকে শনাক্ত করে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ এপ্রিল পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যে দেখা গেছে, ওই বিদেশিদের মধ্যে এক হাজার ৫১ জন কোয়ারেন্টিনে আছেন, ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে এবং দুই জন মারা গেছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সব ধরনের সুযোগ ব্যবহার করে তাবলিগ জামাতের স্থানীয় সাত হাজার ৬৮৮ জন সদস্য ও তাদের সংস্পর্শে আসা লোকদের শনাক্ত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, কারণ এদের সবাইকেই কোয়ারেন্টিন করতে হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, '১ এপ্রিল পর্যন্ত আমরা অধিকাংশ বিদেশি ও স্থানীয় সদস্যকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি, কিন্তু কারা তাদের সংস্পর্শে এসেছিল, তা নিয়ে এখনো কাজ চলছে।' রাজ্য সরকারগুলোর ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা তথ্যানুযায়ী, দেশজুড়ে মার্কাজ নিজামুদ্দিনের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৪০০ জনের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এদের মধ্যে তামিলনাডুর ১৯০ জন, অন্ধ্রপ্রদেশের ৭১, দিলিস্নর ৫৩, তেলেঙ্গানার ২৮, আসামের ১৩, মহারাষ্ট্রের ১২, আন্দামানের ১০, জম্মু ও কাশ্মীরের ছয় জন, পুদুচেরির দুই ও গুজরাটের দুই জন আছেন। গত মাসে দিলিস্নর নিজামুদ্দিন এলাকার সরু বাঁকানো একটি গলির ভেতরে তাবলিগ জামাতের ওই কেন্দ্রটিতে ভারত এবং মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মতো বিদেশি কয়েকটি দেশের কয়েক হাজার লোক একটি ধর্মীয় জমায়েতে যোগ দিয়েছিল। কয়েকটি দিন নামাজ-কালাম পড়ে ও ধর্মীয় বক্তৃতা শুনে কাটিয়েছিলেন তারা। তাবলিগ জামাতের কর্তৃপক্ষ বলেছে, কয়েকদিনের ওই জমায়েত শেষ হওয়ার পর অনেকেই দিলিস্ন ছেড়ে গেলেও ভারতজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ায় ও সব ধরনের পরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার লোক তাদের মার্কাজ নিজামুদ্দিনে আটকা পড়ে।