সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মর্গে জায়গা নেই তাই লাশ ফ্রিজে যাযাদি ডেস্ক দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ইকুয়েডরেই করোনায় মৃতু্যর হার সবচেয়ে বেশি। মৃতের সংখা বাড়তে থাকায় দেশটির হাসপাতালগুলোর মর্গে লাশ রাখার মতো জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে সরকারকে বিশাল আকারের ফ্রিজগুলোতে সংরক্ষণ করতে হচ্ছে মরদেহ। ইকুয়েডরে এ পর্যন্ত ৩১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট লেনিন মরিনো জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ এক দিনে শতাধিক লাশ পাচ্ছে। তাই করোনায় মৃতের বাস্তব সংখ্যা অনেক বেশি। গুয়াইয়াকুইলের মেয়র সিনথিয়া ভিতেরি জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোতে সরকার তিনটি কনটেইনার রেখেছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টির দৈর্ঘ্য ১২ মিটার। কবর প্রস্তুতের আগ পর্যন্ত মৃতদেহ এসব কনটেইনারে সংরক্ষণ করা হবে। মৃতদেহ শনাক্তে একটি ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এর ফলে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারবেন, তাদের স্বজনদের কোথায় সমাধিস্থ করা হয়েছে। সংবাদসূত্র :এএফপি লেবাননে শরণার্থী শিরিবে করোনা যাযাদি ডেস্ক লেবাননে ফিলিস্তিন ও সিরীয় শরণার্থী ক্যাম্পে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ ঘটেছে। তাদের সহায়তা দিতে সাহায্য সংস্থাগুলো শরণার্থী শিবিরে গেছে। কয়েক দশক ধরে লেবাননের জনাকীর্ণ শরণার্থী ক্যাম্পে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বসবাস করে আসছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ১৫ লাখ শরণার্থীও লেবাননে আশ্রয় নিয়েছে। গাদাগাদি করে থাকা এসব ক্যাম্পে পানির মতো মৌলিক সেবার যেখানে ঘাটতি রয়েছে, সেখানে করোনার মতো ভাইরাস শিবিরগুলোকে ভয়ংকর ঝুঁকির মধ্যেই ফেলে দিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত ক্যাম্পের বাইরে একজন ফিলিস্তিনি এবং তিনজন সিরীয়দের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। লেবাননজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫২০ এবং মারা গেছে ১৭ জন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা 'ইউএনআরডবিস্নউএ'র নারী মুখপাত্র হুদা সামরা বলেন, মূল উদ্বেগ হলো, গাদাগাদি করে থাকা ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে 'হোম আইসোলেশনের' সুবিধা খুবই সীমিত। তাই সংস্থাটি প্রয়োজনে কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য ক্যাম্পের ভেতর 'আইসোলেশন সেন্টার' স্থাপনের চেষ্টা করছে। সংস্থাটি বলছে, একই সমস্যা দেশটির পূর্বাঞ্চলের সিরিয়ান শরণার্থী শিবিরেও। সংবাদসূত্র :এএফপি লকডাউনের মধ্যেই ফ্রান্সে ছুরি হামলা যাযাদি ডেস্ক ফ্রান্সজুড়ে লকডাউন চলার মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হোমো সুলিজেয়ে ছুরি হামলার এক ঘটনায় দুইজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটজনক। শনিবার সকালে শহরের একটি বেকারির সামনে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বলে শহরের মেয়র জানিয়েছেন। মেয়র ম্যারি হেলেন থোরাভাল জানান, ক্রেতারা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় হামলার ঘটনাটি ঘটে, হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের গ্রেনোবল এলাকার কাছে হামলাকারী এক তামাক বিক্রেতার দোকানে প্রবেশ করে দোকান মালিককে ও এক ক্রেতাকে ছুরিকাঘাত করে। তারপর নিকটবর্তী কসাইয়ের দোকানে গিয়ে আরও কয়েকজনের ওপর হামলা চালায়। ফ্রান্সের সন্ত্রাসবাদবিরোধী পুলিশ ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব তুলে না নিলেও তারা ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে। ফ্রান্সের গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, সন্দেহভাজন হামলাকারীর বয়স ৩৩ বছর এবং তার জন্ম সুদানে বলে পুলিশকে সে জানিয়েছে। পুলিশ বা গোয়েন্দা বিভাগ তাকে আগে থেকে চিনতো না। সংবাদসূত্র : বিবিসি