মুম্বাইয়ে এক হাসপাতালের ২৯ নার্স-চিকিৎসক আক্রান্ত

করোনার বিরুদ্ধে লম্বা যুদ্ধে ক্লান্ত হওয়া যাবে না :মোদি

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মুম্বাইয়ের ওয়াকহাট হাসপাতাল
ভারতের মুম্বাই শহরের একটি হাসপাতালের ২৬ জন নার্স ও তিনজন চিকিৎসকের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ ওয়াকহাট নামের ওই হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়ে সেটিকে 'আইসোলেটেড' করেছে। এদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে লম্বা যুদ্ধে ক্লান্ত হওয়া যাবে না। সোমবার তার রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন তিনি বলেন, এই যুদ্ধটা অনেক লম্বা এবং এতে জিততেই হবে। সংবাদসূত্র :এনডিটিভি আগেই মুম্বাইকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের 'হটস্পট' হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ভারত সরকার। এ অবস্থার মধ্যেও কীভাবে হাসপাতালটিতে দ্রম্নত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ল তদন্ত করে তা বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মুম্বাইয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের দুইবার পরীক্ষা করে সবার ফল নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে প্রবেশ ও সেখান থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত হাসপাতালটির ২৭০ জন রোগী ও নার্সকে পরীক্ষা করা হয়েছে। রোববার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ এর বড় ধরনের প্রাদুর্ভাবের ঘটনায় আইসোলেশনের পদক্ষেপ নেওয়ার আগ্রাসী পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এই পরিকল্পনায় 'বাফার জোন' ঘোষণা ও আক্রান্ত এলাকাগুলোকে এক মাসের জন্য সিল করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। শেষ আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার অন্তত চার সপ্তাহের মধ্যে ওই এলাকায় নতুন কোনো আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া না গেলে ওই লকডাউন অবস্থা তুলে নেওয়া হবে, পরিকল্পনায় এমনটিই বলা হয়েছে। ভারতে রোববার পর্যন্ত চার হাজার ৩১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর মৃতের সংখ্যা ১১৮। মুম্বাইয়ে এ পর্যন্ত ৪৫৮ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে ৭৪৫ জন আক্রান্ত নিয়ে সংক্রমণ সংখ্যায় শীর্ষে আছে মহারাষ্ট্র। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই এই মহারাষ্ট্রেরই প্রধান শহর। এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি বলে পরিচিত ধারাভির অবস্থানও এই শহরে। ১০ লাখ বাসিন্দার ঘনবসতিপূর্ণ ধারাভিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত পাঁচজন শনাক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজনের মৃতু্য হয়েছে। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একতা প্রকাশ করে রোববার দেশটির স্থানীয় সময় রাত ৯টায় ৯ মিনিট মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালায় লাখ লাখ ভারতবাসী। লকডাউনেও ভালোভাবে সাড়া দিয়েছে তারা ঘরে থেকে। প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বাইরে দেখা যাচ্ছে না ভারতবাসীকে। এভাবেই করোনার বিরুদ্ধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে লড়াই করতে হবে বলেছেন মোদি।