ভারতে একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত

সংক্রমণ ঠেকাতে হবে :মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে জানালেন মোদি

প্রকাশ | ১২ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
করোনাভাইরাসে ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড চার হাজার ২১৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট ৬৭ হাজার ১৫২ জনের দেহে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেল। কোভিড-১৯ ভারতে একদিনের ব্যবধানে আরও ৯৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। সবমিলিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃতু্যর সংখ্যা দুই হাজার ২১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ রোববার বিকালে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোনো কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছিলেন। অবশ্য ওইদিনই মহারাষ্ট্রে নতুন আরও এক হাজার ২৭৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে রাজ্যটিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার পেরিয়ে গেল বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে রাজ্যটিতে মৃতু্যও ৮০০ ছাড়িয়েছে। মহারাষ্ট্রের মধ্যে কেবল মুম্বাইয়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে সাড়ে ১৩ হাজার, মৃতু্য প্রায় ৫০০। আক্রান্ত ও মৃতু্যর সংখ্যায় উলস্নম্ফন দেখার পাশাপাশি দেশটিতে সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে বলে সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে কোভিড-১৯ এ সুস্থতার হার ৩১ দশমিক ১৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে। আগের সপ্তাহে এ হার ছিল ২৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সুস্থতার হারের ইতিবাচক এ প্রবণতা দেশটিতে লকডাউন আরও শিথিলের পথ প্রশস্ত করবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত সরকার মার্চের শেষ দিকে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিল। এরপর কয়েক দফায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়লেও এপ্রিলের শেষ থেকে মানুষের চলাফেরা, যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক বেশকিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। চলতি দফার লকডাউন ১৭ মে শেষ হওয়ার কথা। এদিকে, বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে 'বন্দে ভারত মিশনের' আওতায় বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক বিমান ও ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েক হাজার প্রবাসী ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে হবে : মোদি এদিকে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার বলেছেন, সরকার চেয়েছিল, যে যেখানে আছে, সেখানেই থাকুক। কিন্তু মানুষ ঘরে ফিরতে চাইবেই। তাই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়েছে। সংক্রমণ যেন কোনোভাবেই গ্রামগুলোতে পৌঁছতে না পারে। এটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। লকডাউনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভারতজুড়ে যখন আলোচনা চলছে, সেইসময় মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এ নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পঞ্চম বার বৈঠক করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। লকডাউন নিয়ে এদিন তাকে নিজেদের মতামত জানান মুখ্যমন্ত্রীরা। তবে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে কি-না, তা জানা যায়নি। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্যগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানিয়ে মোদি বলেন, 'প্রত্যেকেই নিজের দায়িত্ব বুঝেছেন এবং সেই মতো করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। সব রাজ্যের সচিবদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন ক্যাবিনেট সচিব। আমাদের আরও সজাগ হতে হবে। ভারসাম্য বজায় রেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে।'