যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে বসানো হয়েছে এক অন্য রকম বিলবোর্ড। 'ট্রাম্প ডেথ ক্লক' বা 'ট্রাম্প মৃতু্যঘড়ি' নামের ওই বিলবোর্ডে লেখা হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত মানুষের সংখ্যা। তবে এই সংখ্যাটা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট যথাসময়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় করোনাভাইরাসে কতজন মারা গেছেন, সেই সংখ্যা। সংবাদসূত্র : এএফপি
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন অনেকে। সম্প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও এ নিয়ে বেশ ধুয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পকে। অনেকে মনে করেন, ট্রাম্প যদি দ্রম্নত সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেন, করোনায় মৃতু্যর হার অনেক কম হতো।
তেমনই একজন ইউজিন জারেকি। সেই ক্ষোভ থেকেই 'মৃতু্যঘড়িটি' তৈরি করেছেন এই চলচ্চিত্র নির্মাতা। মহামারির কারণে ফাঁকা টাইমস স্কোয়ারের একটি বাড়ির দেয়ালে এটি বসানো হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত ওই বিলবোর্ডে মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ১২১ লেখা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে ৮১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। যা বিশ্বের অন্য সব দেশের চেয়ে বেশি।
এক পোস্টে ঘড়িটির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন জারেকি। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ রোগে মৃতু্যর হার ৬০ শতাংশ ঠেকানো সম্ভব হতো, যদি ট্রাম্প প্রশাসন বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণাটি এক সপ্তাহ এগিয়ে দিত। অর্থাৎ, ১৬ মার্চের বদলে ৯ মার্চ লকডাউন হলে মৃতু্যর হার অনেক কম হতো। এসব মৃতু্য রোধ করা যেত। এ ধারণা থেকেই ঘড়িটি তৈরি।
জারেকি নিউইয়র্কভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাতা, যিনি দুইবার সানড্যানস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার জিতেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, শীর্ষস্থানীয় মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসির মন্তব্য অনুসরণ করে বিশেষজ্ঞরা ওই ৬০ শতাংশ গণনা করেছেন। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ফাউসি ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন। প্রশাসনের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগেই করোনা ঠেকানোর ব্যবস্থা নিলে অনেক জীবন রক্ষা পেত।
তিনি বলেন, 'অনেক জীবন অকারণে ঝরে গেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আরও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব চাই।' এছাড়া টাইমস স্কোয়ারে মৃতু্যঘড়ি টাঙানোর পাশাপাশি একটি একই নামে একটি ওয়েবসাইটও খোলা হয়েছে। 'ট্রাম্প ডেথ ক্লক ডটকম' নামের এই ওয়েবসাইটেও এ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে।
