ছন্দে ফিরছে বিভিন্ন দেশ

লকডাউন শিথিলে সতর্কতার পরামর্শ ডবিস্নউএইচওর

লকডাউন শিথিলের পর ফ্রান্সে বাড়ছে মৃতু্য

প্রকাশ | ১৩ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কোনো কোনো দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমে আসার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও)। ওইসব দেশে শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। তবে ডবিস্নউএইচও বলছে, পুনরায় সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন শিথিলের আগেই চরম সতর্ক অবস্থান নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। স্থানীয় সময় সোমবার জেনেভায় অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়েছে। সংবাদসূত্র : আল-জাজিরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার প্রেক্ষাপটে লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয় মহামারিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া ফ্রান্স, স্পেন ও ইতালি। সোমবার থেকে লকডাউন শিথিলের পর ইউরোপের ওই দেশগুলোতে দীর্ঘদিন পর ছন্দ ফিরেছে। কয়েকদিন আগেই লকডাউন শিথিল করা হয় জার্মানিতে। কিন্তু এরপরই দেশটিতে সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করে। এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়াতেও লকডাউন শিথিলের পর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। তবে দেশটি শুরু থেকেই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রেখে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিষয়ক কর্মসূচির প্রধান ডা. মাইক রায়ান বলেন, 'অনেক দেশ লকডাউন তুলে নেওয়ায় আমরা কিছু আশা দেখতে পাচ্ছি। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে চরম সতর্কতাও মেনে চলতে হবে।' জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে গুচ্ছ (ক্লাস্টার) সংক্রমণ শুরু হলেও দেশ দুটি তা কঠোর নজরদারির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবে বলে মনে করেন ডা. রায়ান। তিনি বলেন, 'যেসব দেশ চোখ, কান খোলা রেখে মহামারির মোকাবিলা করছে, তাদের নাম আমাদের নিতেই হবে।' তবে কোনো দেশের নাম উলেস্নখ না করে তিনি এও বলেন, 'বিপরীতে কিছু দেশ চোখ বন্ধ করে প্রলয় সামলানোর চেষ্টা করছে।' একই সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান ডা. টেড্রোস অ্যাডহ্যানম গেব্রেইসুস বলেন, লকডাউনের বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া জটিল ও কঠিন প্রক্রিয়া। তবে মানুষের জীবন ও জীবিকার তাগিদে 'ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নিতে হবে' বলে মনে করেন তিনি। জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো চীনের উহানেও ফের গুচ্ছ সংক্রমণ দেখা গেছে। তবে গেব্রেইসুস মনে করেন, পুনরায় সংক্রমণ শুরু হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার পুরো প্রস্তুতি এই তিনটি দেশের আছে। লকডাউন শিথিলের পর ফ্রান্সে বাড়ছে মৃতু্য এদিকে, ফ্রান্সে সোমবার করোনায় নতুন করে আরও ২৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। আগের দিনের চেয়ে এদিনের মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। রোববার এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৭০। দেশটিতে রোববার প্রায় দুই মাসের লকডাউন শিথিলের ঘোষণা কার্যকর করার পরই মৃতু্যর এমন ঊর্ধ্বগতি দেখা গেল। উলেস্নখ্য, ফ্রান্স তাদের দেশের লকডাউন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা শুরু করলেও তারা দেশব্যাপী অনেক বিধিনিষেধ বহাল রেখেছে। কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কোভিড-১৯ ভাইরাস দ্বিতীয় ধাপে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকায় এ ব্যাপারে এখন সাবধান থাকা জরুরি। ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, 'লকডাউন চলাকালে আমাদের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণে বেঁচে গেছে।'