তৃতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত

করোনায় বিপদ বাড়ছে রাশিয়ায়

প্রতিদিনই ১০ হাজারের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ফ্রান্সে ২৭ হাজার প্রাণ কেড়েছে করোনা

প্রকাশ | ১৪ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিপদ বাড়ছে রাশিয়ায়। দেশটি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যায় বর্তমানে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনের পরেই রয়েছে রাশিয়া। প্রথমদিকে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকলেও এখন দেশটিতে প্রতিদিনই তা হু হু করে বাড়ছে। সংবাদসূত্র :বিবিসি, রয়টার্স জরিপ সংস্থাটির তথ্যমতে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২ লাখ ৩২ হাজার ২৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২ হাজার ১১৬ জন। মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই রাশিয়ায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে এরই মধ্যে ৫৬ লাখ মানুষের দেহে করোনার পরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও অন্যান্য দেশের তুলনায় সেখানে মৃতু্যহার কম। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৮৯৯ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১০৭ জন। একদিন আগের হিসাব অনুযায়ী, নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৬৫৬ এবং মৃতু্য হয়েছে ৯৪ জনের। এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লাখ ছাড়িয়েছে। বৈশ্বিক এ মহামারিতে এই পর্যন্ত বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে দুই লাখ ৯৩ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃতু্য হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও)। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৩৮৬। মৃতু্য হয়েছে ৮২ হাজার ৩৩৯ জনের। মৃতের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩২ হাজার ৭৬৯। আর আক্রান্ত হয়েছে দুই লাখ ২৭ হাজার ৭৪১ জন। মৃতের হিসাবে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৯১১। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ২১ হাজার ২১৬। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৯৯৪। আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৭৮ হাজার ৩৪৯। পঞ্চম স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৯২০। আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ২৮ হাজার ৩০। উৎপত্তিস্থল চীনে মৃতের সংখ্যা চার হাজার ৬৩৭। যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, 'বুদ্ধি-বিবেচনাসম্পন্ন যেকোনো মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।' অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনি বলেছেন, করোনা নিয়ে চীনের স্বচ্ছতার বিষয়টি সর্বোচ্চ উদ্বেগে পরিণত হয়েছে। করোনা মহামারির ফলে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে আফ্রিকাসহ বেশ কিছু স্বল্পোন্নত দেশ। বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ফলে ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় এ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৭-০৮ সালের দিকে খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে যে ধরনের সহিংস পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। বিশ্ব চাইলে আসন্ন এ সংকট ঠেকাতে পারে, তবে তা করার সময় ফুরিয়ে আসছে। ফ্রান্সে ২৭ হাজার প্রাণ কেড়েছে করোনা এদিকে, ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কমপক্ষে ২১ হাজার ৫৯৫ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩৪৯টি কোভিড-১৯ শনাক্ত করা হয়েছে। এদিকে, ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২২৫ জন। ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬ হাজার ৯৯১ জন এবং এরই মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ হাজার ৭৮৫ জন।