করোনাভাইরাস

দেড় লাখ মৃতু্য ও ২৩ কোটি আক্রান্তের শঙ্কা আফ্রিকায়

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আফ্রিকা মহাদেশে আগামী এক বছরে দেড় লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কাড়তে পারে নভেল করোনাভাইরাস। এছাড়া এই ভাইরাসে আফ্রিকায় আক্রান্ত হতে পারে এই মহাদেশের এক চতুর্থাংশ; অর্থাৎ ২৩ কোটির বেশি মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) করোনা বিষয়ক এক মডেলে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। সংবাদসূত্র : এএফপি ডবিস্নউএইচওর ওই মডেল শুক্রবার বিএমজে গেস্নাবাল হেলথ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এতে গবেষকরা ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় আফ্রিকায় করোনায় সংক্রমণের হার কম হতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এই মহাদেশের অনেক দেশ করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দ্রম্নতগতিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। আরও জোরাল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে করোনা পরিস্থিতিতে আফ্রিকার ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হিমশিম খেতে পারে। গবেষকরা বলেছেন, 'নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, সে বিষয়গুলো তুলে ধরেছে আমাদের মডেল। করোনার লাগামহীন বিস্তারে মানুষের প্রাণহানির ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।' এরই মধ্যে এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে তিন লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে মাত্র ১৩৬ দিনে। আক্রান্ত হয়েছে ৪৫ লাখের বেশি। এর মাঝেই দারিদ্রপীড়িত আফ্রিকা মহাদেশের ৪৭ দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জাতিসংঘের স্বাস্থ্যবিষয়ক এই সংস্থা বলছে, আগামী এক বছরের মধ্যে আফ্রিকা মহাদেশের ২৩ কোটি ১০ লাখ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। যা এই মহাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২২ শতাংশ। আক্রান্তদের অধিকাংশের শরীরে উপসর্গ দেখা দিতে পারে, আবার নাও পারে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ৪৬ লাখ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হবে। তাদের মধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ কোভিড-১৯ তীব্র সংক্রমণ ঘটাবে। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৯ হাজার মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক হতে পারে। গবেষকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে এই মহাদেশে করোনায় মারা যাবে দেড় লাখ মানুষ। তবে প্রাণহানির এই সংখ্যা সর্বনিম্ন ৮৩ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ ৯০ হাজারে পৌঁছাতে পারে। করোনার কারণে এইডস, ম্যালেরিয়াসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় ভাটা পড়তে পারে। আর এর ফলে সাব-সাহারা আফ্রিকান অঞ্চলে করোনা নতুন বিপদ তৈরি করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।