সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৬ মে ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মহামারিতে অর্থনীতির ক্ষতি হবে ৮.৮ ট্রিলিয়ন ডলার :এডিবি যাযাদি ডেস্ক করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ৫ লাখ ৮০ হাজার কোটি থেকে ৮ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এমন একটি পূর্বাভাস দিয়েছে। গত মাসে তারা যে পূর্বাভাস দিয়েছিল এটি তার দ্বিগুণের বেশি। এবং এই ক্ষতির পরিমাণ মোট বৈশ্বিক উৎপাদনের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। নতুন পূর্বাভাসে ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে দেখানোর কারণ হিসেবে এডিবি বলছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তারের গতি কমিয়ে আনতে বিভিন্ন দেশ নানা নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশ্বের অভিভাবক প্রতিষ্ঠানগুলোও মহামারির প্রভাবে অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে- এমন চরম হতাশাজনক হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে। এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুয়ুকি সোয়াদা বলেন, এই নতুন বিশ্লেষণ বিশ্ব অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ মহামারির খুবই সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ধারণা দিয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নীতি কৌশলের গুরুত্বও এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এডিবি বলছে, অর্থনীতির সম্ভাব্য ক্ষতির সর্বোচ্চ যে অঙ্ক দেওয়া হয়েছে সেটি মূলত মানুষের চলাচল এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম ছয় মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকবে- এটা ধরে নিয়ে। আর সর্বনিম্ন হিসাবটা এসেছে এসব বিধিনিষেধ তিন মাস থাকবে ধরে নিয়ে। শুক্রবার ভ্যাট অফিস বন্ধ থাকলে কঠোর ব্যবস্থা যাযাদি রিপোর্ট এপ্রিল মাসের ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সুবিধার্থে শুক্রবার (১৫ মে) দেশের ২৫২টি ভ্যাট সার্কেল অফিস খোলা থাকবে। যদি কোনো ভ্যাট অফিস বন্ধ থাকে এবং ভ্যাটদাতা রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হন তাহলে সংশ্লিষ্ট অফিসের দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। এনবিআর সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) মো. জামাল হোসেন সই করা এ আদেশে বলা হয়েছে, কোনো কোনো করদাতা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, তারা কোনো কোনো ভ্যাট অফিসে গিয়ে অফিস খোলা পাননি। অভিযোগ সত্য হলে তা গুরুতর। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এমনটি হয়নি। ?তবে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করতে হবে। অফিস বন্ধ থাকার কারণে একটি লোকও যদি দাখিলপত্র না দিয়ে ফিরে যায় বা অন্য কোনো হয়রানির শিকার হয়ে অভিযোগ করে এবং অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে কর্তৃপক্ষ দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে দ্বিধা করবে না- বলে আদেশে উলেস্নখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, কমিশনারেটের সকল অফিস খোলা রাখা এবং অফিসে সার্বক্ষণিক অফিসার থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য কমিশনার, এডিসি ও জেসিকে কমিশনারেটের অধস্তন অফিস নিয়মিত পরিদর্শন করতে বলা হলো, বিশেষত ১৫ মে। এ পরিদর্শন শেষে রিপোর্ট করতেও বলা হয়েছে অফিস আদেশে। এর আগে গত ১০ মে আর একটি অফিস আদেশে ১৫ মে (শুক্রবার) করদাতাদের ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সুবিধার্থে ভ্যাট সার্কেল অফিস খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশনায় বলা হয়, প্রচলিত ভ্যাট আইন অনুযায়ী করদাতাদের এপ্রিলের ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ মে রাত ১২টা পর্যন্ত। সে লক্ষ্যে এনবিআর ১৫ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিন বিধায় ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সুবিধার্থে ভ্যাট সার্কেলসমূহ জুমার নামাজের বিরতি রেখে বিকেল ৪টা (প্রয়োজনে বেশি সময়ও খোলা রাখা যাবে) পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সে অনুযায়ী সার্কেল অফিসসমূহ খোলা রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। অফিস খোলা রাখার সময় করদাতাদের করোনা সংক্রান্ত সতর্কতা ও নিরাপত্তামূলক সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনারদের এ বিষয়টি মনিটরিং করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। নতুন মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন অনুযায়ী, প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে রিটার্ন জমা না দিলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। করদাতাদের জরিমানা এড়াতে ও আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় শুক্রবার ছুটির দিনেও ভ্যাট অফিস খোলা রাখা হয়েছে। এর আগে মার্চ মাসের ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের সুবিধার্থে ১২-১৫ এপ্রিল চারদিন ভ্যাট অফিস খোলা রাখা হয়। করোনা মহামারির মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভ্যাট কর্মকর্তারা চারদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা রেখে রিটার্ন গ্রহণ ও রাজস্ব আহরণ করেন। চারদিনে মোট ৩০ হাজার ৭৮১টি রিটার্ন জমা পড়ে। এর মধ্যে ম্যানুয়াল দাখিলপত্র ১০ হাজার ৯৯৫টি আর অনলাইনে দাখিলপত্র ১৯ হাজার ৭৮৬টি। চারদিনে মোট আহরিত রাজস্ব ছয় হাজার ২৮৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।