পাঠক মত

শাসনের নামে শিশু নির্যাতন চলছে

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বে প্রতিদিন কত শিশু নির্যাতিত হয় তার সঠিক হিসাব কার কাছে আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু সব থেকে ঝামেলাময় প্রশ্ন হচ্ছে, শিশু নির্যাতন কাকে বলা হয়? ধরে নেওয়া যাক, নিজের সন্তানকে যদি অন্য কেউ মারে, তাহলে তা অবশ্যই নির্যাতন বলে গণ্য হবে; কিন্তু নিজের সন্তানকে নিজেই প্রহার করলে তা হয়ে যায় 'শাসন'-অন্তত আমাদের দেশে। নিজের সন্তানের ওপর 'শাসন' কখন নির্যাতনের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, তা দেখার বা প্রতিকার করার মানুষ বা সংস্থার বড় অভাব। এ নির্যাতন হতে পারে শারীরিক, কখনোবা মানসিক। এর কোনোটিই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু যে সন্তানদের আমরা প্রাণাধিক ভালোবাসি, তাদের মারধর করি কেন? শুধুই তারা অন্যায় করে বলে? পথে-ঘাটে তো আমাদের কত অন্যায় সহ্য করতেই হয়। সেক্ষেত্রে তো আমরা মারধর করতে যাই না, এমনকি প্রতিবাদও করি না সবসময়। এর উত্তরটা কিন্তু সহজ হলেও মেনে নেওয়া হয়তো কঠিন। পাঁচ-ছয় বা সাত বছরের শিশুদের গায়ে যখন আমরা হাত তুলি, তখন আমরা জানি তার প্রত্যাঘাত করার ক্ষমতা নেই, শারীরিকভাবে সে অনেক দুর্বল। রাস্তায় একজন শক্ত-সমর্থ মানুষ ধাক্কা মেরে গেলেও আমরা হজম করে নিই, কারণ মারের বদলে মার ফিরে আসবে বলে। অর্থাৎ যা এ পৃথিবীর নিয়ম, এক্ষেত্রেও তাই প্রযোজ্য- 'জোর যার মুলুক তার'! বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতাময়। আর সেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্যই আজকের দিনের শিশুদের অনেক চাপের মধ্যে থাকতে হয়। পড়াশোনা, গান-বাজনা, খেলাধুলা, ছবি আঁকা- সবকিছুতেই আমরা শিশুদের উৎসাহ দেবো; কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা সময় তাদের মতো করেও কাটাতে দেবো; যে সময়টা হবে একান্তভাবে তাদের নিজেদের। বাবা-মা হিসেবে প্রত্যেকের দায়িত্ব নিজেদের সন্তানদের তাদের শৈশবটাকে উপভোগ করতে দেয়া। \হ শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ মিরপুর, ঢাকা প্রয়োজন পূর্ণাঙ্গ শিক্ষামূলক টিভি চ্যানেল বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল চালু রয়েছে এবং আরো কয়েকটি চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে। গণমাধ্যমের অন্যতম লক্ষ্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা, শিক্ষার প্রসার ঘটানো। কিন্তু আমাদের দেশের গণমাধ্যমগুলোতে বিশেষ করে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিনোদনের ভাগটাই বেশি। শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান নেই বললেই চলে। বিভিন্ন দেশে শিক্ষামূলক টেলিভিশন চ্যানেল চালু থাকলেও আমাদের দেশে তা নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতার এ যুগে সবাই বিনোদনকে পুঁজি করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পাশের দেশ ভারতে বিনোদন চ্যানেলের পাশাপাশি বেশকিছু শিক্ষামূলক চ্যানেল রয়েছে, যারা সারাদিনই বিভিন্ন লেখাপড়া বিষয়ক অনুষ্ঠান, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার খবর, শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। বেশকিছু এফএম বেতারও এ কাতারে যুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান তারা হিন্দিসহ অন্যান্য ভাষায় ভাষান্তর করে প্রচার করে থাকে। এ চ্যানেল বিনোদন চ্যানেল অপেক্ষা কম জনপ্রিয় নয়। দুঃখের বিষয়, আমাদের দেশে একমাত্র বিটিভির (ওয়ার্ল্ড) নিজস্ব কিছু অনুষ্ঠান আর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক মিনিটের অনুষ্ঠান ছাড়া এ জাতীয় কোনো অনুষ্ঠান প্রচার হয় না। এমন কোনো উদ্যোক্তা কী নেই, যারা দেশের অগণিত সচেতন দর্শকের কথা বিবেচনা করে এ ধরনের একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষামূলক টিভি চ্যানেল চালু করতে পারেন! সাজ্জাদ হোসেন রিজু ঝিনাইদহ