বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
স্বাস্থ্য নির্দেশনাও মেনে চলতে হবে

বাড়াতে হবে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা

নতুনধারা
  ০৭ জুন ২০২০, ০০:০০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দিশাহারা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সারা বিশ্বেই। মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ ক্ষেত্রে বলা দরকার, প্রতিদিনই এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অন্যদিকে দেশে সাধারণ ছুটি বা অঘোষিত লকডাউন শেষ হয়েছে। সঙ্গত কারণে যে কোনো সময় করোনার থাবা নিজের ওপরে পড়ার আশঙ্কা করছে অধিকাংশ মানুষ। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে নিজেকে বাঁচাতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রতি সবাই নজর দিচ্ছে। কী কী কারণে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে এবং কোন খাবার গ্রহণ করলে এবং ওষুধ সেবন করলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে তার তালিকাও প্রস্তুত করছে অনেকে।

আমরা বলতে চাই, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মানুষকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না। আর যেহেতু সামাজিক দূরত্ব এবং একে অন্যের প্রতি বিচ্ছিন্নতা জরুরি সেহেতু ভয় থেকে বাঁচতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মানুষ নজর দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। প্রতিদিন সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় প্রতিটি মানুষের বক্তব্য একই এমনটিও জানা যাচ্ছে। তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ও ওষুধ দুই-ই এখনো অধরা। তাই শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানো ও মাস্ক-সাবান-স্যানিটাইজার ব্যবহার করে অসুখের সঙ্গে লড়াই করা ছাড়া এই মুহূর্তে কোনো বিকল্প পথও খোলা নেই।

এ ক্ষেত্রে বলা দরকার, মাস্ক পরা, হাত ধোয়াসহ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসংক্রান্ত স্বাস্থ্য নির্দেশনা রয়েছে। ফলে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি। প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবার তালিকায় সবার আগে থাকছে তেতো খাবার। কারণ এসবের অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীরকে মজবুত রাখে ও বাতাসে ভেসে বেড়ানো রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। এর বাইরে শরীর গড়তে ও যে পুষ্টিগুণ শরীরকে ভিতর থেকে মজবুত করে এসব খাবার প্রতিদিনের তালিকায় রাখার চেষ্টা করছেন মানুষ। এছাড়া ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার মতো প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করতে রান্নায় আয়ুর্বেদ নির্দেশিত কিছু খাবারের ব্যবহারও বেড়ে গেছে। চিকিৎসক ও গবেষকদের পরামর্শ অনুযায়ী রান্নায় লবঙ্গ ও দারুচিনির ব্যবহার অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, এসবের ব্যবহার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট মহামারির বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। এ ক্ষেত্রে আমলে নেওয়া দরকার, চিকিৎসকদের মতে, অনেকটা সময় পেট খালি থাকার পর এক কোয়া রসুন খেলে এর রস সহজে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে পারে বেশি পরিমাণে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ঠাসা এই সবজি রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে। কিছু ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত অসুখ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি ইত্যাদি প্রতিরোধে এই সবজির ভূমিকা অনেক। শ্লেষ্মাজনিত অসুখ রুখতে কাজে আসা রসুন শরীরের রোগপ্রতিরোধের দেয়ালকেও মজবুত করে। প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ঠাসা রসুনের অনেক কার্যকর দিক থাকায় এর ব্যবহারও বেড়েছে।

আমরা বলতে চাই, গবেষক ও চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে, শরীরকে স্বাভাবিক শক্তির জোগান দিতে ও ভিটামিন সি-খনিজের উপাদান যাতে ঘাটতি না পড়ে সেসবের দিকেও এই সময় নজর দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ এটা ইতিবাচক। নজর দিতে হবে সুষম খাদ্যের দিকেও। যত বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যাবে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তত বৃদ্ধি পাবে। এ ক্ষেত্রে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস টাটকা শাক-সবজি ও ফল খেতে হবে। ঘন ঘন মসলাপ্রধান চা পান করা যেতে পারে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সচেতনা সৃষ্টি হলে তা সবার জন্য আশাপ্রদ বিষয়। তবে কোনো ধরনের গুজবে যেন মানুষ হুমড়ি খেয়ে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনাকালে স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলবে সবাই এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<101500 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1